শেরপুরের শ্রীবরদীর রানীশিমুল পাইলট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম সোহাগকে গ্রেফতার ও অপসারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে উপজেলার ভায়াডাঙা বাজারের চাররাস্তা মোড়ে মানববন্ধন শেষে রানীশিমুল ইউনিয়ন পরিষদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ইউপি সদস্যদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউপি সদস্য শহিদুল্লাহ। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সোহাগ নানা অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছে। চেয়ারম্যানের হাতে ইউনিয়ন পরিষদের তিনজন সংরক্ষিত নারী সদস্যকে লাঞ্চিত হয়েছে। এছাড়াও কোটা আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী শহীদ সবুজ হত্যা মামলার আসামী। এ জন্য তাকে গ্রেফতার ও চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের দাবী তুলেন।
ওইসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মজিবর রহমান, সেলিম আহমেদ, নুরল হক, সাহিদা বেগম, মোস্তাক আহমেদ, কল্পনা নাছরিন, সাহারা বেগম প্রমূখ। মানববন্ধনে শতাধিক লোক অংশ নিয়ে চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি করেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সোহাগ বলেন, মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগ তুলে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে। তিনি আরো বলেন, আমি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হয়েছি। বিগত জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছি। এ জন্য তারা আমাকে অনেক হয়রানী করেছে।