ইউরোপা লিগের বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডের এক ম্যাচে যা ঘটল সেটির বিশেষণে কোনো শব্দই হয়তো যথেষ্ট নয়। ম্যাচটি ছিল আয়াক্স এবং পানাথিনাইকসের মধ্যে। যেখানে ফল নির্ধারণ করতে লেগেছে ৩৪টি পেনাল্টি। প্রতিবারই দুই দলের একজন করে খেলোয়াড় পেনাল্টি শট নিতে যাচ্ছেন। একজন গোল করলে অপরজনও গোল করেন। একজন মিস করলে আরেকজনেরও তাই হয়। এভাবে পেনাল্টি শটের ‘ম্যারাথন’এ শেষ পর্যন্ত হেসেছে নেদারল্যান্ডসের ক্লাব আয়াক্স। লম্বা সময় লড়াই করেও হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে গ্রিসের ক্লাব পানাথিনাইকসকে। এতে ইউরোপিয়ান ফুটবলে হলো নতুন রেকর্ড। ইউরোপীয় ফুটবলে দীর্ঘ পেনাল্টি শুটের তালিকায় নাম লিখিয়ে নিয়েছে দুই দল।
গত সপ্তাহে এথেন্সে অনুষ্ঠিত প্রথম লেগে নেদারল্যান্ডসের আয়াক্স জিতেছিল ১-০ গোলে। ফিরতি ম্যাচে আমস্টারডামে গ্রিসের ক্লাব পানাথিনাইকস জিতে যায় ১-০ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ড্র হওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে কোনও দল গোল করতে পারেনি। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। খেলার ফল আনতে পরে ৩৪ পেনাল্টি কিকে নিষ্পত্তি হয় ম্যাচ। ম্যারাথন শুটআউটে আয়াক্স ১৩-১২ গোলে জিতে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে।
টাইব্রেকারে আয়াক্সের হয়ে পাঁচটি সেভ করেন গোলরক্ষক রেমকো পাসভির। প্রথমে নির্ধারিত পাঁচটি টাইব্রেকার শেষ ফল ছিল ৪-৪। এরপর সাডেন ডেথে গিয়েও লড়াই হয় হাড্ডাহাড্ডি। হয় দুই দলের ফুটবলাররা গোল করছিলেন, নাহলে মিস করছিলেন। শেষ পর্যন্ত পানাথিনাইকসের টনি ভিলহেনার শট মিস করলে আয়াক্সের ডিফেন্ডার অ্যান্টন গাই গোল করে দলকে প্লে অফে তোলেন। প্রায় ২৫ মিনিট স্থায়ী হয় এই টাইব্রেকার।
এর আগে উয়েফার সবচেয়ে বেশি শটে ফলাফল নির্ধারণের ঘটনা ছিল ২০০৭ সালে। উয়েফার অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেদারল্যান্ডস ও ইংল্যান্ডের মধ্যে সর্বাধিক ৩২ শটের ঘটনা ঘটেছিল। ওই ম্যাচ নেদারল্যান্ডস জিতেছিল ১৩-১২ ব্যবধানে।
বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে দীর্ঘতম টাইব্রেকারের রেকর্ডটি হয়েছিল চলতি বছরের মে মাসে। ইসরায়েলের তৃতীয় ডিভিশনে এসসি দিমোনা এবং সিমসন তেল আভিভের সেমিফাইনালের ম্যাচে সেদিন নেওয়া হয়েছিল ৫৬টি টাইব্রেকার শট।