শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্ত এলাকায় কৃষকের দুইটি বসতঘর ভেঙে ধান-চাল খেয়ে সাবাড় করেছে ২০-২৫ টি বন্যহাতির একটি দল। ওইসময় ঘরে থাকা আসবাবপত্র ও উপজেলা চেয়ারম্যানের ফল বাগানেও ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হাতির দলটি। ২ আগস্ট শুক্রবার মধ্যরাতে উপজেলার সীমান্তঘেঁষা তারানী ও কালাকুমা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।

বন বিভাগ, জনপ্রতিনিধি ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা যায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তঘেঁষা এলাকার লোকালয়ে প্রায়ই খাদ্যের সন্ধানে নেমে আসে বন্যহাতির দল। এসময় তারা আম, কাঁঠাল, কলা বাগান, ধান খেত খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে, তান্ডব চালায় বসত-বাড়িতে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে খাদ্যের সন্ধানে উপজেলার তারানী ও কালাকুমা এলাকায় তাণ্ডব চালায় ২০-২৫ টি বন্যহাতির একটি দল। এতে তারানী এলাকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কৃষানী ব্রজমালার বসতঘর ভেঙে ঘরে থাকা প্রায় ৩০ মণ ধান খেয়ে ও মাটিতে ছড়িয়ে নষ্ট করে এবং কালাকুমা এলাকার কৃষক নাজমুল হোসেনের বসতঘর ভেঙে ঘরে থাকা প্রায় ৪ মণ চাল ও ৬ মণ ধান খেয়ে ও ছড়িয়ে নষ্ট করে বন্যহাতির দলটি৷ এসময় ঘরে থাকা বৈদ্যুতিক মিটার, ফ্রীজ,আসবাবপত্র ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি করে হাতির দকটি৷ পরে বন্যহাতির দলটি কালাকুমা এলাকায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের আম, কাঁঠাল, নারিকেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলবাগানটিতে তান্ডব চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করে।

ভুক্তভোগী কৃষক কৃষক নাজমুল হোসেন বলেন, আত্তির (হাতির) দল আমার ঘরের সব শেষ কইরা দিছে। সারা বছরের জমানো খাওয়ুনডাও নাই৷ সারা বছর যে কেম্নে চলমু।
সংশ্লিষ্ট রামচন্দ্রকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা বলেন, বন্যহাতির দল উপজেলা চেয়ারম্যানের ফল বাগানসহ দুইজন কৃষকের বসতঘর ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। পাহাড়ে হাতির জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করা গেলে লোকালয়ে মানুষ একটু স্বস্তি পেতো।
ময়মনসিংহ বন বিভাগের গোপালপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, হাতির দলটি বর্তমানে কালাকুমা এলাকায় অবস্থান করছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা হয়েছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা করা হবে।
