ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার পার্বত্য জেলা ওয়েনাড়ের কয়েকটি গ্রামে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০৮ জনে দাঁড়িয়েছে। সেখানে টানা পাঁচ দিন ধরে চলছে উদ্ধার কাজ। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনও বেশ কয়েকজন আটকা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
![Shamol Bangla Ads](https://shamolbangla24.com/wp-content/uploads/2024/01/Ad-1-scaled.jpg)
কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, ওয়ানাড়ের চুরালমালা ও মুন্ডাক্কাইয়ে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিরক্ষা দপ্তরের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড জানায়, শনিবার সকাল সাতটা থেকে ডগ স্কোয়াড সঙ্গে নিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর উদ্ধারকর্মীরাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন এবং সমস্ত কার্যক্রম উত্তর কেরালার আইজিপির মাধ্যমে সমন্বয় করা হচ্ছে।
![Shamol Bangla Ads](https://shamolbangla24.com/wp-content/uploads/2024/01/Ad-2-scaled.jpg)
লেফটেন্যান্ট কর্নেল বিকাশ রানা জানিয়েছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী ছয়টি জোনে শনিবারও তল্লাশি চলবে। তিনি আরও বলেন, “গতকালের মতো আজও আমাদের একই পরিকল্পনা রয়েছে। স্থানীয়রা তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযানে আমাদের সহায়তা করছেন।”
অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের জন্য হিটাচি মেশিনের পথ তৈরি করতে সেনাবাহিনী পুঞ্চিরিমাট্টোম অঞ্চলে একটি সেতু নির্মাণ করছে। পাঙ্গোদে মিলিটারি স্টেশনের এওসি-ইন-সি এয়ার মার্শাল বি মণিকান্তন এবং স্টেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার সলিল শনিবার পরিস্থিতি দেখতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো আকাশপথে পরিদর্শন করেন।
শুক্রবার কেরালার মন্ত্রী পি এ মহম্মদ রিয়াস জানান, এখনও পর্যন্ত ২১০টি মৃতদেহ ও ১৩৪টি দেহাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, স্বজনরা ১৪৬টি লাশ শনাক্ত করেছেন এবং শুক্রবার পর্যন্ত ২০৭টি লাশ ও ১৩৭টি দেহাংশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ওয়ানাড়, কোঝিকোড় ও মালাপ্পুরম জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮৪ জন।
এর আগে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছিলেন, বন কর্মকর্তারা ভূমিধসে বিধ্বস্ত ওয়ানাড়ে ৮ ঘণ্টার অক্লান্ত অভিযানে একটি প্রত্যন্ত আদিবাসী বসতি থেকে ছয়টি জীবন রক্ষা পেয়েছে।
![](https://shamolbangla24.com/wp-content/uploads/2023/11/final01.gif)