শেরপুরের শ্রীবরদীর বাবেলাকোনা এলাকায় পাগলা নদী থেকে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। এতে ভেঙে পড়ছে পাহাড়ি এলাকার তিনটি গ্রামের একমাত্র কাঁচা সড়কটি। সড়কে চলাচল ও বাড়িঘর ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি ও সড়কে চলাচলে ভোগান্তির আশংকা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ১২ জুলাই শুক্রবার সরেজমিন গেলে স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসনের সাথে কথা ওঠে আসে এমন তথ্য।

স্থানীয়রা জানান, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পোড়াকাশিয়ার সীমান্ত থেকে নেমে আসা পাগলা নদী বয়ে গেছে শ্রীবরদীর বাবেলাকোনা গ্রাম হয়ে ভাটি অঞ্চলে। বাবেলাকোনা সীমান্তে এ নদীর মোহনা। প্রতিদিন বাবেলাকোনা গ্রামের পার্শ্ববর্তী মেঘাদল গ্রামের মাসুদ মিয়া৷, কাদির মিয়া রাজা মিয়া ও কর্ণঝোড়া গ্রামের ইয়াছিন আলীসহ কয়েকজনের একটি চক্র দীর্ঘদিন যাবত প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করে আসছে। অবাধে বালু উত্তোলন ও পরিবহনে ক্রমাগত ভেঙে পড়ছে নদীর দু’পাড়। ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে বাবেলাকোনা, হারিয়াকোনা ও দিঘলাকোনা গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র কাঁচা সড়কটি। মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশের ভারসাম্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাবেলাকোনা আদিবাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক জানান, প্রতিদিন পাগলা নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু বহনে ব্যবহার হচ্ছে মাহিন্দ্র। এসব মাহিন্দ্রের শব্দে অনেক সময় শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বিঘ্ন ঘটছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বললেই তাকে অপমান করা হচ্ছে। পাগলা নদীর পাড়ের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বালু বহনে মাহিন্দ্রের যাতায়াতে অনেকের বাড়ির সীমান ভেঙে যাচ্ছে। নদীর দু” পাড় ভেঙে পড়ায় বসত ভিটা ভেঙে পড়ার আশংকা করছেন দু”পাড়ের বাসিন্দারা।

এ ব্যাপারে বালু উত্তোলনকারী মাসুদ মিয়া বলেন, আমরা প্রশাসন ম্যানেজ করেই বালু উত্তোলন করি। এতে কার কি হবে, এটা আমগোর জানার বিষয় না।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সত্যতা নিশ্চিত করে সিংগাবরনা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহাকারি ইবনে জায়েদ বলেন, বালু উত্তোলনের সংবাদ পেলে আমরা অভিযান পরিচালনা করবো। সিংগাবরনা ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুজ্জামা বলেন, বালু উত্তোলনকারীরা কারো কথাই মানেনা। আমি অনেক নিষেধ করেছি। কিন্তু মানছে না। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো, রেজোয়ান ইফতেকার বলেন, উপজেলা নির্বাহী স্যারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
