শেরপুরে বিবদমান দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ জুলাই শনিবার সকালে শহরেরর অষ্টমীতলা কোচ টার্মিনাল পূর্বশেরী এলাকায় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট এমকে মুরাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ওই যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ বায়েযীদ হাছান। ওইসময় তিনি বলেন, অষ্টমীতলা এলাকায় দুই গ্রুপের বিবাদমান কলহের জেরে উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলা মোকদ্দমার উদ্রেক হয়। যা এলাকার শান্তি শৃঙ্খলার পরিপন্থী। চলমান পরিস্থিতিতে গত ২৯ জুন শনিবার সকাল ১১টায় অষ্টমীতলায় এক পক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান আকন্দ সাহেবকে হেয় প্রতিপন্ন করে সংবাদ সম্মেলন করে।
ওই সংবাদ সম্মেলনে এ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান আকন্দ সাহেবকে নিয়ে যে সকল তথ্য উপস্থাপন করা হয় তা সঠিক নয়। এ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান আকন্দ একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা ও ধার্মিক ব্যক্তি। অপরদিকে অন্যপক্ষ পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে সরাফত গং দের বিপক্ষে যে সকল তথ্য উপস্থাপন করেছে তাও অতিরঞ্জিত। প্রকৃত অর্থে উভয় পক্ষই অত্যন্ত শান্তিপ্রিয় ও সম্মানীয় লোক। নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির কারণে এ ধরণের পরিস্থিতির উদ্রেক হয়েছিল।
উভয়পক্ষের চলমান বিবাদ নিরসনের লক্ষে গত ৭ জুলাই রবিবার উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র আইনজীবী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে বিবাদটি সম্পূর্ণরূপে আপোস মিমাংসা করা হয়। এছাড়াও গত ২৯ জুন সংবাদ সম্মেলনের লিখিত ও পঠিত বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। পরিশেষে এক মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
ওইসময় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট এমকে মুরাদুজ্জামান, সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট একেএম মোছাদ্দেক ফেরদৌসী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান আকন্দ, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবুল মানসুর স্বপন, সিনিয়র আইনজীবী এ্যাডভোকেট আলমগীর কিরবিয়া কামরুল, এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার, ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাছিরুল ইসলাম নাহিদ, ছাত্রলীগ নেতা মুরশিদুর রহমান আকন্দ, জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম নিশান, বিশিষ্ট ফার্নিচার ব্যবসায়ী সরাফত আলীসহ গণমাধ্যমকর্মী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।