শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে মহারশি নদীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের সংসদ সদস্য এডিএম শহিদুল ইসলাম। তিনি ৫ জুলাই শুক্রবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসন, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগণসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন স্থানীয় বাসিন্দাদের ওই আশ্বাস দেন।

ওইসময় তিনি বলেন, মহারশি নদীতে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য আমি মহান জাতীয় সংসদে প্রস্তাব করেছি। উপজেলার সন্ধ্যাকুড়া থেকে তিনানী পর্যন্ত এই নদীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য যা যা করার দরকার তাই করা হবে।
পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম বাদশা, উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়, উপজেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, অবৈধভাবে নদীর জায়গায় দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ ও নদীর নাব্যতা না থাকায় প্রতি বছর বর্ষার মৌসুমে ভারত থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ি ঢলের পানিতে রামেরকুড়া, খৈলকুড়া, দিঘীরপাড়সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় নদীর বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে সদর বাজার, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অফিস, শত শত বাড়িঘর ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন আবাদের বিপুল ক্ষতি সাধিত হয়। শুধু তাই নয়- বন্ধ হয়ে যায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে বিপাকে পড়ে মানুষ। পানিবন্দি হয়ে পড়ে নিন্মাঞ্চলের বাড়িঘর। পরবর্তীতে দায়সারাভাবে নদীর পাড় ঠিক করা হলেও তা টেকসই হয় না। যে কারণে মহানশি নদীতে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের কোন বিকল্প নেই।
