শেরপুরে প্রতিদিনই যানজটে নাকাল অবস্থায় পড়েন পৌর শহরের খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর এলাকার ভুক্তভোগী মানুষ। খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর মোড়টি শেরপুর জেলা শহরের সাথে অন্য পাঁচটি উপজেলার যোগাযোগের প্রধান স্থান হওয়ায় মোটর সাইকেল, অটো রিক্সা, সিএনজি, ভটভটি, বাস-ট্রাকে পণ্য ও মানুষ উঠানামায় করায় মহা ব্যস্ত থাকে। কাক ডাকা ভোর থেকে মধ্য নিশি পর্যন্ত যানজট এখানকার চির চেনা এক ভোগান্তি।

তবে ২৯ জুন শনিবার বিকেলে পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন পিপিএম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. খোরশেদ আলম (পুলিশ সুপার পদোন্নতি প্রাপ্ত) যানজট ছাড়াতে ওই মোড়ে আসেন। ওই দুই কর্মকর্তা মোড়ে আসার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই যানজট কমে যায়। ওই দুই কর্মকর্তার নির্দেশে পণ্য ও মানুষ উঠানামার জায়গাগুলোতে গাড়ীর হ-য-ব-ড়-ল অবস্থা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ওই দুই কর্মকর্তা নিজে দায়িত্ব পালন করেন কিছু সময়।
এসময় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশও ব্যস্ত হয়ে পড়েন যানজট নিয়ন্ত্রণে। এতে বহু সংখ্যক গাড়ী ও মানুষের এই মহাজ্যামের চার মহাসড়কের মোড়টি যানজটবিহীন শান্ত সড়কে পরিণত হয়। ওই দুই কর্মকর্তা গাড়ীর ড্রাইভার ও সাধারণ মানুষজনকে ট্রাফিক আইন মেনে সুশৃংখলভাবে চলাচলের অনুরোধ করেন এবং কিছুক্ষণ নিজেই ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করেন। কোন গাড়ী কোথায় থামবে, যাত্রি কোথা থেকে উঠবে, নামবে এসব নানা নির্দেশনা দেন। ঘন্টা দেড়েক কর্মকর্তারা ওই মোড়ে অবস্থান করেন। এতে স্বস্তি পান ওই মোড় দিয়ে যাতায়াতকারীরা।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. আকরাম হোসেন পিপিএম বলেন, এই যানজট নিয়ন্ত্রণে ড্রাইভার ও জন সাধারণদের আরও সচেতন করতে হবে। পুলিশ সুপার এসময় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশকে সব সময় এই সড়কটিকে জ্যাম মুক্ত রাখতে রাখতে কড়া নির্দেশ দেন।
ওইসময় উপস্থিত মানুষজন বলেন, ঠেলার নাম বাবাজি। আহা! প্রতিদিন যদি কর্মকর্তারা এভাবে আসতেন। আর প্রতিদিনই এমন চিত্র থাকতো!
