বৃষ্টি ও উজানে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে শেরপুরের সব নদ-নদীর পানি। ১৯ জুন বুধবার পর্যন্ত ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি, সোমেশ্বরী, নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই, চেল্লাখালী, সদর উপজেলার মৃগী ও পুরাতন ব্রক্ষপুত্র নদের পানি হু হু করে বাড়ছে।

শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, বুধবার দুপুর পর্যন্ত নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালি নদী ছাড়া এখনো জেলার সবকটি নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর চেল্লাখালি নদীর পানি বিপদসীমার ১২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও এখনও সেখানে পানি ফসলি জমিতে প্রবেশ করেনি।
তবে মহারশি নদীর পানি বেড়ে উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। মহারশি নদীর কাঁচা বাঁধের একটি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি বাড়ার গতি অব্যাহত থাকলে যেকোন মুহূর্তে প্লাবিত হতে পারে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর বাজারসহ কয়েকটি ইউনিয়নের ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর ও জেলা কৃষিবিভাগের তথ্যমতে, বুধবার সকাল পর্যন্ত শেরপুর জেলায় ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘন্টার পূর্বাভাসে শেরপুরসহ আশেপাশের এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিন্দা রানী ভৌমিক দীঘিরপাড় ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান বলেন, চেল্লাখালি নদী ছাড়া জেলার বাকি নদনদীর পানি বিপদসীমার নিচে রয়েছে। তবে চেল্লাখালির পানিও এখনও লোকালয়ে প্রবেশ করেনি। ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর বাধটি অনেক পুরাতন হওয়ায় এক জায়গায় ভেঙে গেছে। সেটি মেরামতের কাজ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি এবং কোন ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি।
