ads

রবিবার , ১২ মে ২০২৪ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেল সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্রী তানাজ, পরিবারে বিষাদের ছায়া

জুবাইদুল ইসলাম
মে ১২, ২০২৪ ৯:৫০ অপরাহ্ণ

চলতি ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় প্রকাশিত ফলে জিপিএ-৫ পেয়েও বিষাদের ছায়া নেমেছে শেরপুরের শিক্ষার্থী মাশুরা নোকাদ্দেস তানাজের বাড়িতে। কারণ যাকে নিয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠার কথা ছিল বাড়ির সবার, সেই তানাজই যে আজ বেঁচে নেই।

Shamol Bangla Ads

জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার চরশিমুলচুড়া গ্রামের বাসিন্দা কুয়েতপ্রবাসী মোকাদ্দেসুর রহমান তোরাব ও মোছা. মনিরা বেগম দম্পতির তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে মাশুরা নোকাদ্দেস তানাজই বড়। তানাজ শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতো। সেই সুবাদে শেরপুর শহরের নওহাটা এলাকায় বাড়ি করে সেখানেই থাকতেন তারা। চলতি বছর তানাজ এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। তবে ফল প্রকাশের আগেই গত ৩১ মার্চ ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় তানাজ ও তার ছোটভাই আনাছ নিহত হয়।

১২ মে রবিবার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা যায়, তানাজ জিপিএ-৫ পেয়েছে। শুধুমাত্র বাংলা বিষয়ে এ গ্রেড ছাড়া বাকি সব বিষয়েই এ প্লাস পেয়েছে সে। এ সংবাদ শোনার পর তার বাড়িতে আনন্দের বদলে যেন আরও বিষাদ নেমে আসে।

Shamol Bangla Ads

সরেজমিনে শহরের নওহাটা এলাকায় তানাজের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তানাজের মা মোছা. মনিরা এখনও পুরোপুরি সেরে উঠেননি। অসুস্থ অবস্থায়ই মেয়ের কথা স্মরণ করে কাঁদছেন তিনি। আর মেয়ের ছবি ও স্কুলের আইডি কার্ড বের করে অশ্রুসিক্ত চোখে বারবার হাত বুলিয়ে দেখছেন বাবা মোকাদ্দেসুর রহমান তোরাব। মেয়েকে চিকিৎসক বানানোর স্বপ্ন ছিল তাদের। কিন্তু একটি সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে তাদের সেই স্বপ্ন।

তারা জানান, তানাজ খুবই মেধাবী ছিল। সে চিকিৎসক হতে চেয়েছিল। পড়াশোনার প্রতি ওর আগ্রহ আর মনোযোগ দেখে আমরা ওকে চিকিৎসকই বানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা আমাদের ছেলে-মেয়ের সাথে সাথে সব স্বপ্নও কেড়ে নিয়েছে।
তানাজের মামা সোহাবুর রহমান বাপ্পী বলেন, আমার বড় ভাগনী তানাজ খুবই আদরের ছিল। আমাদের সবার চোখের মনি ছিল সে। কিন্তু এভাবে সে সবাইকে কাঁদিয়ে মারা যাবে কখনোই ভাবিনি।

শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আবু তারেক জানান, তানাজ খুব মেধাবী ছাত্রী ছিল। সে খুবই শান্তশিষ্ট ছিল। তানাজ জেএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছিল। এবারের এসএসসি পরীক্ষাতেও সে খুব ভালো করেছে। ফল প্রকাশের পর তার সহপাঠীরাও তাকে স্মরণ করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ তানাজের মামা কুয়েতপ্রবাসী সোহাবুর রহমান বাপ্পীকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আনতে স্ব-পরিবারে ঢাকা যাওয়ার পথে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার জামান ফিলিং স্টেশনের সামনে নামে একটি বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় এসএসসি পরীক্ষার্থী তানাজ ও তার ছোটভাই আড়াই বছর বয়সী শিশু আনাছ। আহত হয় তাদের বাবা-মাসহ তিনজন।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!