শেরপুরে বায়ার কোম্পানির হাইব্রিড জাতের অ্যারাইজ আইএনএইচ ১৬০১৯ ধানের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ দুপুরে সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের ফটিয়ামারী গ্রামের কৃষক মো. রুবেল মিয়ার জমিতে ওই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বায়ারের রিজিয়নাল ম্যানেজার কৃষিবিদ মো. গোলাম মোর্শেদ।

ওইসময় তিনি বলেন, অ্যারাইজ আইএনএইচ ১৬০১৯ জাতের ধানটি স্বল্পজীবনকালের হওয়ায় মাত্র ১২৫-১৩০ দিনের মধ্যেই ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন কৃষকরা। এছাড়া জাতটি বাদামি গাছ ফড়িং ও পাতাপোড়া সহনশীল আমন হাইব্রিড ধান। এ ধান গাছটি হেলে পড়ে না, উফশী জাতের তুলনায় ফলনও অনেক বেশি। চাল মধ্যম-চিকন।
বায়ারের টেরিটোরি ইনচার্জ কৃষিবিদ মো. মনিয়ার হোসেনের পরিচালনায় মাঠ দিবসে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রৌহা ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তাহমিনা তুষ্টি, বায়ারের টেরিটোরি ইনচার্জ জান্নাতুল আনিকা, কৃষক মো. রুবেল মিয়া, কৃষক মো. মামুন মিয়া, রিটেইলার শাকিল আহমেদ প্রমুখ।

কৃষক মো. রুবেল মিয়া জানান, চলতি মৌসুমে অ্যারাইজ আইএনএইচ ১৬০১৯ জাতের ধান চাষ করে তিনি একরপ্রতি ৬৯ মণ ফলন পেয়েছেন। এই জাতের ধানে কারেন্ট পোকা ধরে না। এজন্য আবাদে খরচও কম লেগেছে। এছাড়া স্বল্পমেয়াদী হওয়ায় ধান কেটে সরিষার আবাদ করতে পারছেন। এতে তিনি লাভবান হবেন। আগামীতে এই জাতের ধানের আবাদ করার জন্য স্থানীয় অনেক কৃষক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলেও জানান তিনি।
ধানটির রিটেইলার শাকিল আহমেদ জানান, বাণিজ্যিকভাবে চাষ করার জন্য প্রথমবারের মতো কৃষকদের আইএনএইচ ১৬০১৯ ধানের বীজ দিয়েছিলাম। এটি কারেন্টপোকা ও পাতাপোড়া সহনশীল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই আগামীতে এ ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়বে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তাহমিনা তুষ্টি জানান, স্বল্পজীবনকালীন হওয়ায় এই ধান কেটে আবার তেল জাতীয় রবি শস্য উৎপাদন করা সম্ভব হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হবেন।
এ মাঠ দিবসে বায়ারের অন্যান্য কর্মকর্তাগণসহ প্রায় শতাধিক কৃষক অংশ নেন।