নেশার টাকা নানা পেয়ে বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি বেঁধে ফারুক মিয়া (৩০) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটে শেরপুরের শ্রীবরদী পৌর শহরের জালকাটা গ্রামে। ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ । নিহত ফারুক ওই গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে।

জানা যায়, জালকাটা গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের দুই ছেলে দুই মেয়ে। কয়েক বছর যাবত তার স্ত্রী জমিলা খাতুন অভাবের কারণে মেয়ে ও বড় ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় থাকে। ফারুক একাই বাড়িতে থাকে। সে মাঝে মধ্যে ভাড়ায় অটোরিক্সা চালিয়ে চালাতো। ফারুক দীর্ঘদিন যাবত নেশা সেবন করে আসছে। নেশারগ্রস্ত হওয়ার কারণে একাধিকবার গ্রামের লোকজন তাকে পুলিশের হাতেও তুলে দিয়েছে। এদিকে নেশাগ্রস্ত হওয়ার কারণে বিয়ে করলেও বউও তাকে ফেলে চলে যায়। একাই সে বাড়িতে থাকে। নেশার টাকা না পেয়ে মঙ্গলবার রাতে বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি বেঁধে আত্মহত্যা করে। আজ ভোরে পাশের ঘরের লোকজন তার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
নিহত ফারুকের মা জমিলাম খাতুন বলেন, “পোলাডারে ভালা করার লাইগা আমি মেলা চেষ্টা করছি। ভালা করতে পারি নাই। ওরে অহন নেশার ট্যাহা কেডা দিবো? অহন ট্যাহা না পাইয়া গলায় দড়ি দিছে। আমার মতো আর কারো পোলা যেন নেশা না করে। “

স্থানীয় সাবেক কমিশনার শাহ আলম বলেন, সে দীর্ঘদিন যাবত মাদকদ্রব্য সেবন করে আসছে। এখন নেশার টাকা জোগাড় করতে না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীবরদী থানার এসআই রিপন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে নেশার আলামত। এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।