শেরপুরে চেক প্রতারণার মামলায় সাজার দীর্ঘ ৬ মাস ১০দিন পরও গ্রেফতার হয়নি মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে পীর (৪৮) নামক এক প্রতারক। তিনি সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের হাওড়া এলাকার মৃত হাজী মর্তুজ আলীর ছেলে। চলতি বছরের ৭ মার্চ চেক প্রতারণার মামলায় তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ৮ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন যুগ্ম জেলা জজ-২ ইসমেত জিহান। এরপর থেকেই সে গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে।

১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে মামলার বাদী শেরপুর সদর উপজেলার চরখারচর এলাকার মৃত শামসুল হকের পুত্র ও পেশায় শিক্ষক মো. শাজাহান আলী (৪৭) শ্যামলবাংলা২৪ডটকমকে জানান, মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে পীরের জামাতা আলহাজ¦ মো. নাজমুল হুদা জামালপুর সদর উপজেলার শাহপুর জামতলা মোড়ে আয়েশা সিদ্দিকা হজ¦ কাফেলা নামে একটি হজ¦ এজেন্সি পরিচালনা করেন। সেই সুবাদে শফিকুল ইসলাম ওরফে পীর পাশর্^বর্তী এলাকার অধিবাসী স্কুলশিক্ষক মো. শাজাহান আলীকে হজে¦ পাঠানোসহ সৌদিতে একটি ডিলারশীপ দেওয়ার জন্য বিশ^াস জন্মিয়ে তার কাছ থেকে ৮ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
এরপর তিনি হজে¦ পাঠানো ও ডিলারশীপ দেওয়ার বিষয়ে কোন কার্যক্রম না করায় তলব-তাগাদার এক পর্যায়ে ২০২২ সালের ৬ মার্চ মো. শাজাহান আলীকে ইসলামী ব্যাংক শেরপুর শাখার একটি চেক প্রদান করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট একাউন্টে স্থিতির পরিমাণ অপর্যাপ্ত থাকায় ৯ মার্চ চেকটি ব্যাংকে প্রত্যাখান হয়। এরপর শাজাহান আলী তার নামে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েও টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে একই বছরের ২১ এপ্রিল শেরপুর সদরের সিআর আমলী আদালতে শফিকুল ইসলাম পীরের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার একটি মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় শফিকুল ইসলাম পীর হাজির হয়ে জামিন নিলেও পরবর্তীতে পলাতক হয়। অবশেষে তার অনুপস্থিতিতে গত ৭ মার্চ যুগ্ম জেলা জজ-২ ইসমেত জাহান তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং চেকে উল্লেখিত ৮ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী স্কুলশিক্ষক মো. শাজাহান আলী প্রতারক শফিকুল ইসলাম পীরকে দ্রুত গ্রেফতারে পুলিশ ও র্যাবের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।