ads

শনিবার , ১২ আগস্ট ২০২৩ | ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

বিশ্ব হাতি দিবস আজ ॥ গারো পাহাড়ে বন্যহাতির ক্ষুধায় ভেস্তে যায় সবকিছু

অভিজিৎ সাহা, নালিতাবাড়ী
আগস্ট ১২, ২০২৩ ১:৫৬ অপরাহ্ণ

শেরপুরের নালিতাবাড়ী থেকে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট পর্যন্ত গারো পাহাড়জুড়ে হাতির বিচরণক্ষেত্র। কিন্তু সেই বিচরণক্ষেত্রে মানুষের পা পড়েছে। হাতি হারিয়েছে বাসস্থান। ফলে হাতি–মানুষ দ্বন্দ্ব লেগেই আছে। কখনো সে দ্বন্দ্বে বলি হচ্ছে বন্য হাতি, কখনোবা প্রাণ যাচ্ছে মানুষের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খাদ্যসংকট আর বিচরণক্ষেত্র বিনষ্ট হওয়ায় লোকালয়ে হাতির হানা বেড়েছে।
শুধু গারো পাহাড়েই নয়, শিকারিদের দৌরাত্ম্য, বাসস্থান হারানোসহ নানা কারণে বিশ্বজুড়েই স্থলভাগের সর্ববৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণী হাতি হুমকির মুখে। এই বাস্তবতায় আজ ১২ আগস্ট পালিত হচ্ছে বিশ্ব হাতি দিবস।

Shamol Bangla Ads

সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন বিশ্ব বন্য প্রাণী তহবিলের (ডব্লিউডব্লিউএফ) তথ্যমতে, এক শতাব্দী আগে বিশ্বজুড়ে হাতির সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২০ লাখ। এখন মাত্র ৪ লাখ হাতি টিকে আছে। এশীয় বন্য হাতি কমার অন্যতম কারণ হিসেবে ডব্লিউডব্লিউএফ বাসস্থান হারানোকে দায়ী করেছে।

গারো পাহাড়েও একই ঘটনা ঘটেছে। বন বিভাগ সূত্র বলেছে, শেরপুরের নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী হয়ে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বন্য হাতির বিচরণক্ষেত্র। সেখানে বেড়েছে মানুষের বিচরণও। শেরপুরে গত ২৮ বছরে হাতির আক্রমণে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাতি মারা গেছে ৩৩টি। এর মধ্যে ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত গত ৯ বছরেই ২৭ জন মানুষ এবং ২৫টি হাতির মৃত্যু হয়েছে।

Shamol Bangla Ads

হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব কমাতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও, কোনোটাই তেমন কার্যকরী হচ্ছে না বলে দাবি এলাকাবাসীর। ২০১৪ সালে হাতি প্রতিরোধে পরীক্ষামূলকভাবে সীমান্ত এলাকায় ১৩ কিলোমিটার সৌরবিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে বেড়া দেওয়ার প্রকল্প নেয় বন বিভাগ। ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় হাতির বিচরণক্ষেত্র ও আক্রমণের সম্ভাব্য গতিপথে বেড়া নির্মাণ করা হয়।

২০১৫ সালে ঝিনাইগাতীর তাওয়াকুচি ও কর্ণঝুড়া গ্রামে ১০০ হেক্টর বনভূমিতে হাতির খাদ্য উপযোগী বাগান তৈরি করে দেওয়া হয়। হাতি প্রতিরোধে জেলার তাওয়াকুচি, ছোট গজনী, বড় গজনী, হালচাটি ও মায়াঘাসি এলাকায় ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লেবু ও বেতকাঁটার বাগান করা হয়। হাতির অবস্থা দেখতে সীমান্তে ১৬টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া হাতি তাড়াতে বিভিন্ন সময় পাহাড়ি গ্রামগুলোতে চার্জার লাইট, টর্চলাইট ও জেনারেটর বিতরণ করা হয়েছে। বন্য হাতির ক্ষুধার কাছে সবকিছুই ভেস্তে গেছে।
পরিবেশবাদীদের অভিযোগ, গারো পাহাড়ে মানুষের অবাদ বিচরণ, বৃক্ষনিধন ইত্যাদি কারণে হাতি তাদের অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। যদি গারো পাহাড়ে হাতির অভয়ারণ্য করা যায়, তাহলে এই প্রাণীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা যাবে। এ ছাড়া তখন লোকালয়েও আসবে না হাতি ৷ ফলে কমে যাবে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব।

গারো পাহাড়, বন্য প্রাণী ও নদী রক্ষা পরিষদের উপদেষ্টা বিপ্লব দে কেটু বলেন, ‘হাতি হচ্ছে প্রকৃতির পাহারাদার। আমরা চাই, হাতি ও মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত হোক। হাতির জন্য পাহাড়ে পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করা হোক।’

বন বিভাগ সূত্র বলেছে, ঝিনাইগাতির তাওয়াকুচি ও কর্নঝুড়া গ্রামে ১০০ হেক্টর বনভূমিতে হাতির খাদ্যোপযোগী বাগান করা হয়েছে।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘হাতির বিচরণ এলাকায় অভয়ারণ্য সৃষ্টি করতে মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত অনুমতি পাব। হাতিকে কোনোভাবে বিরক্ত করা যাবে না।’

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!