শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক,নিরাপত্তাকর্মী, পরিচ্ছন্ন কর্মী ও নৈশপ্রহরী নিয়োগে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থবাণিজ্য, জমি লিখিয়ে নেওয়া ও দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াবিল ইউনিয়নের সর্বস্তরের সচেতন জনগনের ব্যানারে নয়াবিল বাজারে ঘন্টাব্যাপি এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য সাইফুল ইসলাম, শাহীন আল মামুন, নুরুল ইসলাম, অভিভাবক রাশেদ খান, ওয়াহেদ আলী, সাবেক কর্মচারী আতাউর রহমান প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শওকত সাঈদ ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম গত ৫ মে গোপনে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তোফায়েল আহম্মেদের ছোট ভাই মনির হোসেনকে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে নিরাপত্তাকর্মী পদে নিয়োগ দেয়। একই দিন আনিসুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয় নৈশপ্রহরী পদে। এর বিনিময়ে আনিসের বড় ভাই মিজানুর রহমানের কাছ থেকে চেকের মাধ্যমে সাড়ে ৩ লাখ টাকা ও আনিসের বাবার কাছ থেকে ২০ শতাংশ জমি নেওয়া হয়। এসময় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলামের স্বাক্ষর জাল করে রেজুলেশনে অন্তভূক্তি করা হয় বলেও জানান বক্তারা।
বক্তারা আরোও বলেন, ম্যানেজিং কমিটির পাঁচ সদস্যকে না জানিয়ে গত ২৬ জুন গোপনে শেরপুরের ভিক্টোরিয়া একাডেমীতে ‘সহকারী প্রধান শিক্ষক’ ও ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মী’ পদে গোপনে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিষয়টি জানতে পেরে ওই দিন নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, শাহীন আল মামুন, কমো. আমানত ও করয়না বেগম পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হন। এসময় পুলিশের মাধ্যমে তাঁদের বের করে দেওয়া হয়।
এনিয়ে নিয়োগ পরীক্ষার দুইদিন আগে গত ২৪ জুন ম্যানেজিং কমিটির পাঁচ সদস্য এই নিয়োগ বাতিল চেয়ে ময়মনসিংহ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। পরে অর্থবানিজ্য, জমি লিখিয়ে নেওয়া ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে গত ২৭ জুন এ নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে তাঁরা লিখিত অভিযোগ করেন। এছাড়াও তাঁরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগের অনুলিপি দেন। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে নিয়গে অর্থবাণিজ্য, জমি লিখিয়ে নেওয়া ও দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে মানববন্ধন করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, আইন মেনেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ বন্ধরে জন্য ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজন সদস্য পরীক্ষাকেন্দ্র গিয়েছিলেন। অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে তাদেরকে পুলিশ দিয়ে সরানো হয়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।