গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মে ছিলো
শেখ লুৎফর রহমান ও সায়েরা খাতুনের কুলজুড়ে,
কৈশরেই দেখায় প্রতিবাদী চেতনার বহি:প্রকাশ
আদরের নাম ‘খোকা’ ছড়িয়ে যায় এলাকাজুড়ে।
সাধারণ পরিবারে জন্ম তার
গ্রামের স্কুলেই প্রাথমিক শিক্ষা শুরু,
মাধ্যমিক স্কুল জীবনও কাটে একই অবস্থায়
রাজনীতির উৎসাহদাতা পিতা-শুরুর গুরু।
স্কুল জীবন পেরিয়েই জড়ায় নিয়মিত রাজনীতিতে
কলিকাতা ইসলামিয়া কলেজে পাকিস্তান আন্দোলনে সূচনা,
শের ই বাংলা ফজলুল হক ও হোসেন শহীদ সোহরাওর্দীর মতো নেতার সান্নিধ্যে
সাতচল্লিশে পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হলে ঢাকায় ফিরে ধারণ নতুন চিন্তা- চেতনা।
আটচল্লিশে ছাত্রলীগের গোড়াপত্তনে, উনপঞ্চাশে মূল দলের নেতা
সেই থেকে বায়ান্নার ভাষা আন্দোলনসহ নানা গণআন্দোলনে অগ্রভাগে,
একাত্তরের সাত মার্চে গগণস্পর্শী তর্জনী হেলনে মুক্তি সংগ্রামের ঘোষনা
নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ আর মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পাই মাতৃভূমি-দেশভাগে।
পেয়েছেন বাংলাকে ভালোবেসে বঙ্গবন্ধু উপাধি, হয়েছেন স্বাধীনতার ঘোষক
প্রশস্ত যার বক্ষ, দীর্ঘকায় দেহ- অসীম সাহসের প্রতিভূ,
যেনো আকাশ ছোঁয়া দীপ্ত অস্তিত্বের অধিকারী- হিমালয়
দৃঢ়চেতা তিনিই নিজের গড়া বাংলাকে ধারণ করেছেন আমৃত্যু।
তার ত্যাগ-তিতিক্ষাতেই মাতৃভূমির অভ্যুদয়-জন্ম
তিনি বাংলার আকাশ-বাতাস, বাঙ্গালীর শ্বাস-প্রশ্বাস,
স্বাধীন বাংলার স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি
বিশ্ব নন্দিত বিস্ময়-যাকে স্মরণ হলে জাতি আজও করে হা-হুতাশ।
কাবু করতে পারেনি আইয়ুব খান, মুনেম খান
দূর্বল করেছিলো যতো বাঙ্গালীর অকুন্ঠ ভালোবাসা,
মর্যাদা দিতে রক্ত দেননি তিনি একাই
সপরিবারে রক্ত দিয়ে মর্যাদার ঋণ শোধ করেছেন-ঠাসা।
বাঙ্গালীর মুক্তি সংগ্রামে
গিয়েছেন বার বার ফাঁসির মঞ্চে,
মৃত্যুকে করেছেন আলিঙ্গন
কখনই ফিরে তাকাননি পিছে।
স্বপ্ন ছিলো যুদ্ববিধ্বস্ত বাংলাকে সোনার বাংলা গড়বে
লাল-সবুজে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ বিশ্ব সেবা করবে,
জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির প্রয়াসে বিশ্ব নাড়াতেই
চাটুকারের দল ঘাতকরূপে দ্বীপশিখা নিভিয়ে লাফায় গর্বে।
মৃত্যুঞ্জয়ী মহাপ্রাণ-বাংলার হৃদয়ে যার অধিষ্ঠান
তার ডাকেই ভূমিষ্ঠ স্বাধীনতা, তিনিই তো বাংলার ভাগ্য বিধাতা,
মুক্তিদেরও অভ্যুদয়ে জানে সর্বজন বিশ্বব্যাপী
তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব; অবিসংবাদিত নেতা, বাঙ্গালি জাতির পিতা।
(১৭.০৩.২৩ ইং)