চাঁদপুরের প্রায় ৫০টি গ্রামে রমজান শুরু হয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে রোজা পালন করতে শুরু করেছে তারা।
জানা যায়, জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা প্রতি বছরই আগাম রোজা এবং ২ ঈদ উদযাপন করেন। সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীর শায়েখ মো. আরিফ চৌধুরী বলেন, আমরা গতকাল রাতে তারাবি পড়েছি, সেহরি খেয়ে আজ থেকে রোজা পালন শুরু করেছি। ২৯ শাবান কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি। ৩০ শাবান শেষ। এরপরতো আর মাস হয় না। আজ থেকে পহেলা রমজান।
এ মতবাদের অনুসারী ফরিদগঞ্জ উপজেলার শামীম মুন্সি জানান, বুধবার রাতে এশার নামাজের পর রাত সাড়ে ৮টায় তারাবির নামাজ আদায় করা হয়। ভোররাতে সেহরি খাওয়ার মধ্য দিয়ে রোজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
একই তথ্য জানান উপজেলার টোরা মুন্সিরহাট বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মাহবুবুর রহমান। শাহরাস্তি উপজেলার শিক্ষক মো. রুহুল আমিন জানান, পূর্বে আমাদের উপজেলায় এই মতবাদের অনুসারী না থাকলেও গত কয়েক বছর বেড়েছে। তারাও এখন আগাম রোজা ও ঈদ পালন করে।
বৃহস্পতিবার থেকে রোজা রাখবেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাশারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ।
আরও জানা যায়, সাদ্রার হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মরহুম মাওলানা আবু ইছহাক ইংরেজি ১৯২৮ সাল থেকে আরব বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে ইসলামের সব ধর্মীয় রীতিনীতির প্রচলন শুরু করেন। তার মৃত্যুর পর থেকে তার ছয় ছেলে এ মতবাদ চালিয়ে আসেন। এর মধ্যে পীরের বড় ছেলে আবু যোফার মোহাম্মদ আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর এখন তার ছেলে আরিফও এ মতবাদ চালাচ্ছেন।