‘সকলের অংশগ্রহণ, বন্যপ্রাণী হবে সংরক্ষণ’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস উপলক্ষে শেরপুরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ মার্চ রবিবার সকালে বনবিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের উদ্যোগে শেরপুর বন নার্সারি চত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস।
শেরপুর বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকারের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন শেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. আব্দুল কাদির, শেরপুর বার্ড কনজারভেশন সোসাইটির সংগঠক দেবদাস চন্দ বাবু, শেরপুর প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের সমন্বয়ক চ্যানেল আই প্রতিনিধি হাকিম বাবুল প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বনবিভাগের বিট কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বন্যপ্রাণি রক্ষায় প্রাণপ্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। তারা বলেন, বন্যপ্রাণির অভয়াশ্রম নিশ্চিত করতে পাহাড় কাটা, শাল-গজারীর বন ধ্বংস ও পাথর উত্তোলন বন্ধ করা, সামাজিক বনায়নের নামে মনোকালচার বনসৃজন বন্ধ করা, খাল-বিল,নদী-নালা, জলাশয় দখল-দূষণ বন্ধ করতে হবে। উন্নয়নের নামে প্রকৃতি বিনাশী কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে, টেকসই উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে প্রয়োজনে আইন ও নীতি পরিবর্তন করতে হবে। শেরপুরে গারোপাহাড়ের বনাঞ্চলে বন্যহাতির অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করতে হবে। বন্যহাতির জন্য সেখানে অভয়াশ্রম তৈরী করতে হবে। বন্যপ্রাণীকে ভয় নয়, তাদের সাথে সহাবস্থানের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনী জ্ঞান-দক্ষতা ও শিক্ষা ও সচেতনতা বাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রাণপ্রকৃতি, বন ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় বনবিভাগের সুফল প্রকল্পের আওতায় নির্মিত বিশেষ ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে বনবিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারি, স্বেচ্ছাসেবক, বন্য-বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতিপ্রেমি শিক্ষার্থী এবং সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজনে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন।