মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেহে ক্যান্সারজনিত ক্ষত ছিল, যা গত মাসে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
তার ক্যান্সারে আক্রান্ত সব টিস্যু অপসারণ করা হয়েছে, এবং এ নিয়ে আর কোনো চিকিৎসার দরকার নেই; তবে চলমান স্বাস্থ্যসেবার অংশ হিসেবে তার ত্বকের ওপরও নজর রাখা হবে, বাইডেনের চিকিৎসক এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ফেব্রুয়ারিতে ৮০ বছর বয়সী মার্কিন প্রেসিডেন্টের যেসব শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছিল, তাতে তিনি যে সুস্থ এবং ‘দায়িত্ব পালনে সক্ষম’ তা বেরিয়ে এসেছে বলে দাবি করেছিল হোয়াইট হাউস।
শুক্রবার (৩ মার্চ) মার্কিন গণমাধ্যমে পাঠানো বাইডেনের চিকিৎসক কেভিন ও’কনরের লেখা নোটে বলা হয়েছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসির বাইরে ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিকেল সেন্টারে বাইডেনের বুক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুগুলো অপসারণ করা হয়েছে।
আর কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই, যেখান থেকে টিস্যু অপসারণ করা হয়েছে, বায়োপসির পর সেখানকার ক্ষতস্থান চমৎকারভাবে সেরে উঠেছে, বলেছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের দেহে যে ধরনের ক্যান্সার পাওয়া গেছে, সেই বাসেল সেল কার্সিনোমা সাধারণত ছড়ায় না, কিংবা শরীরের এক জায়গা থেকে অপসৃত হলে, অন্য অংশে হাজির হয় না।
এই বাসেল এবং স্কোয়ামুস সেল কার্সিনোমা জাতীয় ত্বকের ক্যান্সারই যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বলে জানিয়েছে সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।
এ জাতীয় ক্যান্সার খুবই কম ক্ষতি করে, আগেভাগে চিকিৎসা করা গেলে সহজে নিরাময়ও করা যায়, বলছে স্কিন কেয়ার ফাউন্ডেশন।
তবে মেলানোমা জাতীয় ত্বকের ক্যান্সার হলে বিপদ আছে, এটি শরীরের অন্য অংশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
জানুয়ারিতে বাইডেনের স্ত্রী, মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের দেহ থেকেও তিনটি ক্ষতিগ্রস্ত কোষ অপসারণ করা হয়, যার দুটিতে পরে বাসেল সেল কার্সিনোমা পাওয়া যায়।
বিবিসি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেও বাইডেনের দেহ থেকে একাধিকবার ‘মেলানোমা জাতীয় নয়’ এমন ত্বকের ক্যান্সারে ক্ষতিগ্রস্ত কোষ অপসারণ করা হয়েছিল।
২০২১ সালে বাইডেনের স্বাস্থ্য নিয়ে সারসংক্ষেপে ড. ও’কনর লিখেছিলেন, প্রেসিডেন্টের ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত সব কোষ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ফেলে দেওয়া হয়েছে এবং ‘এই মুহূর্তে তার শরীরের অন্য কোথাও এমন কোষ আছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে না’।
ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধে সেরা উপায় হিসেবে চিকিৎসকরা ত্বক ঢেকে রাখা এবং এমনকী শীতকালেও সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহারের পরামর্শ দেন।