রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রাংশ ও বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর স্টিল পাইপ নিয়ে বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে এসে ভিড়েছে তিনটি বিদেশি জাহাজ। রবিবার সকাল ও দুপুরে মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর জন্য ৩ হাজার ৩৫২ দশমিক ৩৮৯ মেট্রিক টন স্টিল পাইপ নিয়ে নোঙর করে পানামার পতাকাবাহী ‘এমভি কুই ইয়া শান’ জাহাজ।

একই সময় বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে পানামার পতাকাবাহী ‘লিবার্টি হারভেস্ট’ নামে আরেকটি জাহাজ নোঙর করে। এই জাহাজে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৪ হাজার ৭১৬ দশমিক ০২৬ মেট্রিক টন যন্ত্রাংশ আনা হয়েছে। দুপুরে বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে নোঙর করেছে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রাংশ নিয়ে আসা রাশিয়ার পতাকাবাহী ‘এমভি কামিল্লা’। ৩ হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন পণ্য নিয়ে জাহাজটি নোঙর করে এই জেটিতে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিদেশি জাহাজ ‘এমভি কুই ইয়া শান’ জাহাজের শিপিং এজেন্ট ‘হক অ্যান্ড সন্স’–এর খুলনা অফিসের কর্মকর্তা মো. শওকত আলী বলেন, ২৩৮ প্যাকেজে ৩ হাজার ৩৫২ মেট্রিক টন পণ্য নিয়ে সকালে জাহাজটি এ বন্দরে নোঙর করে। পরে সেখান থেকে সেসব পণ্য খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত তাদের অধীন ১৩টি জাহাজে ২ হাজার ৫৬০ প্যাকেজের ৪৬ হাজার ৩৫১ মেট্রিক টন স্টিল পাইপ আনা হয়েছে।

অন্যদিকে রুপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেশিনারি পণ্য নিয়ে আসা বিদেশি জাহাজ ‘লিবার্টি হারভেস্ট’ এর শিপিং এজেন্ট ইন্টারপের্টের পরিচালক মোঃ শাহীন ইকবাল জানান, রুপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে রবিবার সকালে বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করার পর জাহাজ থেকে পণ্য খালাস শুরু হয়েছে। চারদিনের মধ্যে এসব পণ্য পুরোপুরি খালাস হবার পর সেগুলো সড়ক ও নৌ পথে পাবানার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রুপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে। এই জাহাজে ১৪ হাজার ৪৭৫ প্যাকেজের ৪১৬ মেট্রিক টন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেশিনারি পণ্য আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিন দুপুর ২টার দিকে রুশ পতাকাবাহী ‘এমভি কামিল্লা’ জাহাজে করে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচ হাজার ৫০৬ প্যাকেজের ৩৬৩৩ মেট্রিক টন পণ্য আনা হয়েছে বলে জানান এই জাহাজের শিপিং এজেন্ট কনভেয়ার শিপিং লাইন্সের ম্যানেজার অপারেশন সাধন কুমার চক্রবর্তী।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, ‘দেশের নির্মাণাধীন প্রায় সব প্রকল্পের মালামাল এখন বিশেষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হচ্ছে। দ্রুত সময়ে আধুনিক পদ্ধতিতে দক্ষ জনবল দিয়ে এসব পণ্য খালাস হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এই বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ হচ্ছে।’