ads

বৃহস্পতিবার , ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

বায়ুদূষণে বিশ্বে শীর্ষে ঢাকা

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
ডিসেম্বর ১৫, ২০২২ ৬:১৪ অপরাহ্ণ

শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকার বায়ুর মান দ্রুত খারাপ হচ্ছিল। শীতের আমেজের সঙ্গে বাতাসে বিপদ আরও বাড়ছে। এরই মধ্যে রাজধানীর বাতাসে দূষিত বস্তুকণার পরিমাণ এতই বেড়ে গেছে যে তা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ঢাকার বাতাস ছিল বিশ্বের প্রধান শহরগুলোর মধ্যে দূষণের দিক থেকে শীর্ষে।

Shamol Bangla Ads

বিশ্বের বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের পর্যবেক্ষণ (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর বায়ুর মান ছিল ৩৩৭, যাকে বায়ুমান সূচকে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। বায়ুদূষণের দিক থেকে এ সময় বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল পাকিস্তানের লাহোর, বায়ুর মান ছিল ২২৬। বায়ুর মান ২০৬ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিল পাকিস্তানের করাচি। আর চতুর্থ অবস্থানে কলকাতা, সেখানে বায়ুর মান ১৯৮। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুযায়ী বায়ুদূষণে বিশ্বের প্রধান শহরগুলোর মধ্যে শীর্ষে ঢাকা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে ২.৫ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে (একিউআই) ‘ভালো’ বলা যায়।

Shamol Bangla Ads

এই মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে ‘মধ্যম’ মানের এবং ১০১-১৫০ হলে ‘বিপদসীমায়’ আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর পিপিএম ১৫১-২০০ হলে বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১-৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-৫০০ হলে ‘বিপজ্জনক ’ বলা হয়।

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়নকেন্দ্রের (ক্যাপস) পরিচালক কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ভারতের দিল্লি, মুম্বাই, থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, চীনের বেইজিং শহরে বায়ুর মান খুবই অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় পৌঁছে গেলে সেসব দেশের সরকার বিশেষ স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা জারি করে। নাগরিকদের বায়ুদূষণ থেকে রক্ষা পেতে নানা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু বাংলাদেশে এই নিয়ে কোনো প্রচারণা নেই।

তিনি বলেন, প্রতিবছর নভেম্বর থেকে রাজধানীসহ দেশের প্রধান শহরগুলোর বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনা নেওয়া উচিত। সিটি করপোরেশন ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে পানি ছিটানোর যানবাহন আছে। সেগুলোকে ধুলাদূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগানো উচিত। নির্মাণকাজ ও যানবাহনের ধুলা নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর হওয়ার তাগিদ দেন তিনি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে এখন চলছে শুষ্ক মৌসুম। ফলে এখানে নির্মাণকাজ ও মানুষের নানা তৎপরতা বেড়ে গেছে। ধুলা ও ধোঁয়া বেড়েছে। এটিও বায়ুদূষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!