শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী অবকাশ পর্যটনকেন্দ্রে আগত দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ‘গজনী ফুড কর্ণার’ উদ্বোধন করা হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে গজনী অবকাশ কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে ওই ফুড কর্ণারের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার।

ওইসময় তিনি বলেন, ভ্রমণপিপাসুদের সুবিধার্থে এবং গজনীকে আরও আকৃষ্ট করতে মনোরম পরিবেশে সাশ্রয়ী মূল্যে ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য এ ফুড কর্ণারের যাত্রা শুরু হলো।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদ এজেড মোরশেদ আলী, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক তোফায়েল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদ, ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল কবীর, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার কাউছার আহাম্মেদ, এনডিসি মো. আসিফ রহমান, ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল আলম ভূইয়া, প্রেসক্লাব সভাপতি শরিফুর রহমান, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান, ফুড কর্ণারের ইজারাদার মো. আব্দুর রশিদ বাবুসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

গজনী ফুড কর্ণারের ইজারাদার মো. আব্দুর রশিদ বাবু জানান, জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবধানে এই ফুড কর্ণারে সুলভ মূল্যে উন্নতমানের চাইনিজ ও বাংলা খাবার পাওয়া যাবে। এতে গজনী অবকাশে ঘুরতে আসা পর্যটকদের খাওয়াদাওয়ার সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।
কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান বলেন, গজনী অবকাশে প্রতি বছরই অসংখ্য পর্যটক ঘুরতে আসেন। পর্যটকদের জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উন্নতমানের ফুড কর্ণার চালু হওয়ায় ভ্রমনপিপাসু মানুষের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।