শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের কালঘোঁষা নদীর গান্ধিগাও এলাকায় স্লুইস গেইট নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকার কৃষাণ-কৃষাণীরা। ১৪ নভেম্বর সোমবার সকালে নওকুচি সীমান্ত বাজারে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান আনার উল্যাহ, উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নবেশ খকশী, আওয়ামী লীগ নেতা উমর আলী, ইউপি সদস্য গোলাপ হোসেন, এনামুল কবির মানিক, দুলাল মন্ডল প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কালঘোঁষা নদীর গান্ধিগাও একটি স্লুইস গেইট নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এখানে একটি স্লুইস গেইট না থাকায় যুগ যুগ ধরে এলাকার প্রায় দুই হাজার একর জমি অনাবাদি থাকে। এসব জমি আবাদের আওতায় আনতে ২০২০ সালে এখানে একটি স্লুইস গেইট নির্মাণের জন্য জরিপ কাজ শুরু করে এলজিইডি। জাইকার অর্থায়নে ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায়ে এ স্লুইস গেইটটি নির্মানের জন্য প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়। কিন্তু হালচাটি এলাকার বাসিন্দারা স্লুইস গেইটের বিরোধিতা করছেন। কৃষকদের দাবি, এ নদীর উপর একটি স্লুইস গেইট নির্মাণ করা হলে, গান্ধিগাও, হালচাটি, নওকুচি, বাকাকুড়া, ফুলহাড়ি ও ডেফলাই এলাকার সেচ সুবিধার অভাবে অনাবাদি হয়ে পরে থাকা ২ হাজার একর জমি আবাদের আওতায় আসবে।

তবে বনবিভাগের দাবি, ওই স্থানে স্লুইস গেইট নির্মাণ হলে গারো পাহাড়ের শালগজারি বন হুমকির মুখে পড়বে। এছাড়া বন বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই বন বিভাগের জায়গায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে এলজিইডি। এজন্য প্রকল্পটি বন্ধের জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
