শেরপুরে অর্থাভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না মানসিক ভারসাম্যহীন মমেনা বেগমের (৫০)। গত ৫ বছর যাবত বিনা চিকিৎসায় এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছেন মমেনা বেগম। মমেনা বেগম সদর উপজেলার বেতমারি-ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নের ঘুঘুরাকান্দি গ্রামের দিনমজুর গোলাম মোস্তফার স্ত্রী।

জানা গেছে, বসতবাড়ির ৮ শতাংশ ভিটার জমি ছাড়া সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই গোলাম মোস্তফার। ১ ছেলে ২ মেয়েসহ ৫ সদস্যের পরিবার গোলাম মোস্তফার। ২ মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে বিয়ে করে আলাদা ঘর সংসার করছেন। ছেলে মঞ্জুরুল ইসলামের সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাকে। দিনমজুরি করে চলে গোলাম মোস্তফার সংসার। একদিন কাজে না গেলে সেদিন ঘরে চুলা জ্বলে না তার বাড়িতে। গত প্রায় ৫ বছর পুর্বে গোলাম মোস্তফার স্ত্রী মমেনা বেগম মানুষিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। সাধ্যমত মমেনা বেগমের চিকিৎসা করেছেন তার স্বামী গোলাম মোস্তফা। কিন্ত আর্থিক সংকটের কারণে এখন আর স্ত্রী মমেনা বেগমের চিকিৎসা করাতে পারছেন না দরিদ্র দিনমজুর স্বামী গোলাম মোস্তফা।
ওই গ্রামের ইউপি সদস্য বেলায়েত হোসেন জানান, বর্তমানে মমেনা বেগম বিনা চিকিৎসায় এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছেন। অনেক সময় শরীরের কাপড় ফেলে দিয়ে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছেন। ফলে মানসিক ভারসাম্যহীন স্ত্রী মমেনা বেগমকে বাড়িতে রেখে কোন কাজে যেতে পারছেন না দিনমজুর স্বামী গোলাম মোস্তফা। এ কারণে মানসিক ভারসাম্যহীন স্ত্রীকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে পরিবারটি। তাদের ভাগ্যে এখনও জুটেনি সরকারি-বেসরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা।

এ বিষয়ে শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা, অনুপম ভট্টাচার্য্য রোগীকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল ভর্তি করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, সরকারিভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।