ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বরিশাল উপকূলে আঘাত করতে পারে বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে জলোচ্ছ্বাস সোমবার সন্ধ্যার পর শুরু হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল পার হওয়ার সময় চট্টগ্রাম, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, নোয়াখালী, ফেনীর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ার থেকে ৫ থেকে ৮ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম উপকূলে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা থেকে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চুয়াডাঙ্গায় ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে ছাতা মাথায় মানুষ বের হয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার পুরাতন পাড়া থেকে সকাল নয়টার দিকে তোলা
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও বলেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বরিশালের দিকে এগোচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৫ কিলোমিটারের ভেতরে বাতাসের একটানা গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সাগর প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত ও চট্টগ্রাম, কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকা, ঢাকার আশপাশের এলাকা, দেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি এবং বাতাস দুটোই বাড়তে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। আজ সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৩০ ঘণ্টার মধ্যে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, নোয়াখালী পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা, চাঁদপুর, কুমিল্লা, নরসিংদী, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, কক্সবাজার, রাঙামাটি, ময়মনসিংহ ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ এলাকা ছাড়া দেশের বাকি এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ সকাল ৯টা বেজে ২৫ মিনিটে মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৯ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৫৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এটি অবস্থান করছিল এবং এটি আরও কিছুটা জোরদার হয়ে উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
