দেশের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী বলেছেন, ইকোপার্ক বা জাতীয় উদ্যান তৈরির জন্য আদর্শ জায়গা মধুটিলা ইকোপার্ক। প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের মতো একটি বন এখানে আছে। এখন আমাদের প্রয়োজন ট্যুরিস্টদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা তৈরি করে দেওয়া। সেজন্য ইতোমধ্যেই আমাদের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষককে বলেছি, এখানে একটি সমীক্ষা তৈরি করার জন্য। এখানে যে স্থাপনা তৈরি করব তা যেন প্রকৃতিবান্ধব হয়।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় গারো পাহাড়ে সৃজিত সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের লভ্যাংশের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ওইসব কথা বলেন। শনিবার সকালে উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্কের মহুয়া রেষ্টহাউজ চত্বরে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ওই চেক বিতরণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, শহরে যে স্থাপনা তৈরি করি সেটি যেন মধুটিলায় না হয়। স্থাপনা হতে হবে প্রকৃতির সাথে মিল রেখে। এ জন্য আলাদা আর্কিটেকচারাল ডিজাইন লাগবে, ল্যান্ডস্ক্যাপ ডিজাইন লাগবে। যদি তারাতারি এসব সম্পন্ন করে প্রস্তাবটি দেওয়া যায় আমি আশাকরি মধুটিলা ইকোপার্ক শেরপুর জেলার মধ্যে সেরা এবং দর্শনীয় একটি স্থান হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা একেএম রুহুল আমীন। ওইসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা কেন্দ্রীয় অঞ্চলের বন সংরক্ষক হোসাইন মোহাম্মদ নিশাদ, নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু, শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক আবু ইউসুফ, বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, জামালপুরের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল করিম, প্রেসক্লাব নালিতাবাড়ীর সভাপতি আব্দুল মান্নান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসমলাম মনির প্রমুখ। পরে অনলাইনে ১৪৫ জন উপকারভোগীদের মাঝে ৩ কোটি ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৯৮ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।