সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেছেন, শেরপুরের গারো পাহাড়ের গজনী অবকাশসহ অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রের নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশও পর্যটকদের মুগ্ধ করবে। তাই গারো পাহাড়ের পর্যটন বিকাশে এখানে শিগগিরই একটি উন্নতমানের মোটেল নির্মাণ করা হবে। যাতে পর্যটকরা এখানে রাতযাপন করতে পারেন। তিনি ১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার শেরপুরের শ্রীবরদীর রাজার পাহাড়, সোনাঝুরি, গজনী অবকাশ ও মধুটিলা ইকোপার্ক পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শনকালে গজনী অবকাশ কেন্দ্রে সাংবাদিকদের ওইসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, করোনার পর পর্যটনকে নতুন ভাবনায় সাজাতে হচ্ছে। এরই আওতায় এখানে পরিদর্শনে এসেছি আমরা। এখানে ঘুরে দেখলাম, বনভূমি, পাহাড় ও ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী মিলিয়ে পর্যটনের জন্য আদর্শ একটি এলাকা। সবকিছু গুছিয়ে করতে পারলে এখানে প্রচুর পর্যটকের সমাগম বলে বলে আশা করছি। তাই শেরপুর পর্যটনের মোটেল নির্মাণসহ এখানকার পর্যটন বিকাশে যা যা দরকার সবই করা হবে। এটি হলে এখানকার জনগণের জীবনমানেরও উন্নয়ন ঘটবে। আর ট্যুরিস্ট পুলিশের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলব। নিরাপত্তার জন্য এখানে অবশ্যই ট্যুরিস্ট পুলিশ দরকার।
পরে তিনি ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া মোড়ে পর্যটন মোটেল স্থাপনের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেন।

ওইসময় তার সাথে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আলি কদর, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) সুকেশ কুমার সরকার, শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদ, ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম, ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ, শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার ইউনুস, শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, রাংটিয়া রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক শরিফুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।