বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রানালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেছেন, গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত মধুটিলা হতে পারে অসাধারণ একটি পর্যটন কেন্দ্র। সারা দেশে এই ধরণের সম্ভাবনাময় স্পট কিন্তু ছড়িয়ে রয়েছে। এবার পযটনবর্ষের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘পযটনে নতুন ভাবনা’। আমরা চাচ্ছি এসব সম্ভাবনাময় জায়গাগুলোর আরো উন্নয়ন করতে । এতে এখানে প্রচুর পর্যটক আসবে এতে করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সমৃদ্ধ হবে। তিনি ১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী,ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী সীমান্তবর্তী সম্ভনাময় পর্যটন এলাকা ঘুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্ক পরিদির্শন শেষে সাংবাদিকদের ওইসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের যে উন্নয়নের লক্ষ্যস্থির করে দিয়েছেন। সেটা করতে হলে পর্যটনের মাধ্যমকে আমরা কাজে লাগাতে পারি এবং ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। জীবন মানেরও উন্নতি হবে। এতে একজন পযটকের জন্য ১১টি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।
তিনি আরও বলেন,জিডিপিতে আমাদের পযঁটন থেকে অংশ গ্রহণ হচ্ছে মাত্র ৩.২৪ শতাংশ। যেখানে সারা বিশ্বে গড়ে ১০ শতাংশ রয়েছে। সেখানে যদি সম্ভবনাময় জায়গা গুলোকে কাজে লাগাই তাহলে আমরাও ২০ থেকে ২৫ শতাংশ অর্থ জিডিপিতে দিতে পারি পর্যটন থেকেই।
এর আগে তিনি জেলায় পর্যটন মোটেলের প্রস্তাবিত স্থানসমূহের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র গুলো পরিদর্শন করেন।

ওইসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ আলি কদর , বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) সুকেশ কুমার সরকার, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিবের একান্ত সচিব এ এইচ এম জামেরী হাসান, শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন প্রমুখ।