কোন সহিংসতা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ৭টি ও শ্রীবরদী উপজেলার ১টি ইউনিয়নে বড় ধরনের কোন সহিংসতা ছাড়াই অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে ওই ভোট গ্রহণ শুরু হয়, যা চলে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকেই তীব্র শীত উপেক্ষা করে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। বিশেষ করে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। তবে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টাকালে কয়েকজনকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, ঝিনাইগাতী উপজেলার ৭ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৪২ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১০৯ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৬৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ উপজেলায় ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩১৮ জন ভোটার রয়েছেন। এদিকে শ্রীবরদী উপজেলার খরিয়াকাজীরচর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী, ৩৬ জন সাধারণ সদস্য প্রার্থী ও ১১ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছেন ১৯ হাজার ৮৪২ জন।
সরেজমিনে সকাল ১১টার দিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার লয়খা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কুয়াশার চাদর না কাটলেও ভোট দিতে এলাকার নারী-পুরুষ ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়েছেন। এখানে নারীদের লাইনই বেশি দীর্ঘ। এছাড়া বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিরা রিকশা-ভ্যানযোগে এবং কোলে চড়ে ভোট দিতে এসেছেন। বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। লয়খা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. নিয়ামুল বাছির জানান, এ কেন্দ্রের মোট ভোটার ১ হাজার ৫২৩ জন। ৪টি বুথে ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্ত ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছেন। কোন গোলযোগের ঘটনা ঘটেনি। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মো. হাসান নাহিদ চৌধুরীসহ জুডিসিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ পৃথক পৃথকভাবে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার শ্যামলবাংলা২৪ডটকমকে জানান, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় কাজ করেছি। তীব্র শীত উপেক্ষা করে নির্বাচনে ভোটারদের স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে কোথাও কোন ধরনের গোলযোগের ঘটনা ঘটেনি। যারাই কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে সাথে সাথে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ শ্যামলবাংলা২৪ডটকমকে বলেন, নির্বাচনের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, স্ট্রাইকিং ফোর্স, ৩ প্লাটুন বিজিবি, ২ প্লাটুন র্যাব ও ২টি আনসার ব্যাটালিয়ানের টিম মোতায়েন ছিল। এছাড়া ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন। সকলের সহযোগিতায় কোন ধরনের গোলযোগ ছাড়াই ইউপি নির্বাচন শেষ হয়েছে।