ধনিয়া; পুষ্টিকর মসলার মধ্যে অন্যতম। ধনিয়া আমাদের তরকারি রান্নার অনুষঙ্গ। মূলত মসলা ফসল হিসেবে ধনিয়া উৎপাদন হয়। কিন্তু দিন দিন এর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিক লাভজনক ফসল হিসেবে কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে চরাঞ্চলে ধনিয়া চাষের জন্যে খুবই উপযোগী। ধনিয়ার কচি পাতা ও ফুল চরের অলংকার। এই মসলা ফুলের গন্ধ মাতোয়ারা করেছে চরের কৃষক, কৃষাণী ও ভ্রমণ পিপাসুদের। মসলা ফুল ও কচি পাতার ঘ্রাণে মুহিত করেছে প্রকৃতিকে।
ধনিয়া মূলত শীতকালীন রবি ফসল। কিন্তু রবি ফসল হলেও বর্তমানে শীতকাল ও গ্রীষ্মকালে ও আবাদ হয়ে থাকে। বারোমাসই ধনিয়া চাষ করা যায়। হোসেনপুরে চরের কৃষকগণ ব্যাপকভাবে ধনিয়া চাষ করে থাকেন। এ বছরও বরি শস্য হিসেবে ব্যাপকভাবে এর আবাদ হয়েছে। ধনিয়া লাভজনক ফসল হওয়ায় চাষাবাদ করে থাকেন স্থানীয় চাষিরা।

উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের চরকাটি হারী গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ বছর ৫০ শতক জমিতে ধনিয়া পাতা চাষ করেছেন। ২ হাজার টাকা খরচ করে ইতোমধ্যে ধনিয়ার কচি পাতা ১০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। আশা করছেন, ধনিয়া মাড়াই করে ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন।
মুক্তা মৃধার মতো চরকাটারী গ্রামের কৃষক আলম, সাহেবের চর গ্রামের কৃষক মুকুলসহ অনেকেই জানান, ধনিয়া একটি লাভজনক ফসল। অন্যান্য ফসলের সাথে উৎপাদন করা যায়। তাই এটা উৎপাদনে তেমন খরচ হয় না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইমরুল কায়েস জানান, ধনিয়া সাথী ফসল হিসাবে লাভজনক ফসল। ধনিয়া উৎপাদনে চাষীদের মধ্যে দিনদিন আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।




