ads

মঙ্গলবার , ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ | ২১শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আবার সবক দেয় : প্রধানমন্ত্রী

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
ডিসেম্বর ২৮, ২০২১ ৯:০৯ অপরাহ্ণ

বঙ্গবন্ধুর খুনিকে আশ্রয় দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশে গণতন্ত্র আর মানবাধিকার নিয়ে সমালোচনার অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমেরিকা গণতন্ত্রের জন্য কথা বলে আর খুনিদেরকে আশ্রয় দেয়, প্রশ্রয় দেয়। কেন আমি জানি না। তারা নাকি বিশ্বের সব থেকে গণতান্ত্রিক দেশ!’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে আমাদের আইনের শাসনের সবকও শুনতে হয়, গণতন্ত্রের কথাও শুনতে হয়, ন্যায়বিচারের কথাও শুনতে হয়, সেটিই আমার কাছে অবাক লাগে।’ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের জাজেস স্পোর্টস কমপ্লেক্সে মুজিববর্ষ স্মারক প্রকাশনা শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

Shamol Bangla Ads

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্ট প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বিচার বিভাগ’, ‘বঙ্গবন্ধু অ্যান্ড দ্যা জুডিশিয়ারি’ এবং মুজিববর্ষ স্মরণিকা ‘ন্যায় কণ্ঠ’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ভার্চুয়ালি এবং মুজিববর্ষ উদযাপন সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্ট জাজেস উপ-কমিটির আহবায়ক আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানও বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী বিচার বিভাগ ও খুনিচক্রের পৃষ্টপোষকদের ভূমিকা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমেরিকার মতো জায়গা, যারা সব সময় ন্যায়বিচারের কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলে, ভোটাধিকারের কথা বলে, তারা মানবাধিকারের কথা বলে, কিন্তু আমাদের যে মানবধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল, আমরা যে ন্যায়বিচার পাইনি.. তারপর যখন এই বিচার হল, সেই খুনিদের আশ্রয় দিয়ে বসে আছে। নূরকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে কানাডা, আর খুনি রাশেদ এখনও আমেরিকায়।’

জাতির পিতার খুনিদের ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রচেষ্টা চালানোর কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সরকারে আসার পর থেকে (যুক্তরাষ্ট্রে) যতজন রাষ্ট্রপতি এসেছেন, প্রত্যেকের কাছে বারবার অনুরোধ করেছি যে একটা সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে আপনারা কিভাবে আশ্রয় দেন, আপনাদের জুডিশিয়ারি কিভাবে আশ্রয় দেয়, কিভাবে আপনারা একটা খুনিকে আশ্রয় দেন? তাকে (রাশেদ) আজ পর্যন্ত ফেরত দিল না।’
অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বিচারব্যবস্থা ও আদালতের প্রতি বঙ্গবন্ধুর আস্থা ছিল অবিচল। এ কারণেই বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই দেশের সংবিধান প্রণয়ন করেন। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অতীতের সব গ্লানি মুছে ফেলে সুপ্রিম কোর্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাসহ এ ধরণের মামলাগুলো নিষ্পত্তি করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’

Shamol Bangla Ads

তিনি আরও বলেন, ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগ সংবিধান সমুন্নত রেখে কাজ করে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ জনগণের আস্থাস্থল হিসেবে পরিণত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ করে, বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে বিচার বিভাগ বঙ্গবন্ধুকে আরও মহিমান্বিত করেছেন।’
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রকাশিত তিনটি স্মারক গ্রন্থ বিচার বিভাগের ইতিহাসে অনন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।

সভাপতির বক্তৃতায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একে অপরের পরিপূরক যার একটিকে বাদ দিয়ে এই বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ এ ব্যক্তিত্বেও জীবন ছিল কণ্টকাকীর্ণ ও দুঃসহ। বঙ্গবন্ধু জীবনের মূল্যবান অনেক সময় কারাভোগ করেছেন, তার অনেকটা সময় আইন-আদালত মামলা- মোকদ্দমায় কেটেছে। সেই নথিপত্রের অনেক তথ্যাদি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রকাশিত স্মারক গ্রন্থে উঠে এসেছে।’
অনুষ্ঠানে স্মরকগ্রন্থের তথ্যাদি নিয়ে সংক্ষিপ্ত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত সবাই জাতির পিতা ও বঙ্গমাতাসহ ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের সব শহীদ এবং বিজয়ের এই মাসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!