ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এই আলোচনা বন্ধ ছিল। পাঁচ বছর পর আবারও হলো আমেরিকা-ফিলিস্তিন আর্থিক আলোচনা। মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আমেরিকা-ফিলিস্তিন ইকোনমিক ডায়লগ (ইউএসপিইডি) আবার হয়েছে। তারা একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘অংশগ্রহণকারীরা এই বিষয়ে একমত হয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক ও আর্থিক সম্পর্ক আবার চালু করা দরকার। দুই তরফই আরো বেশি করে সহযোগিতা করার অঙ্গিকার নিয়েছে।’
আমেরিকার তরফে আলোচনায় ছিলেন অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি লেমপার্ট। তিনি ফিলিস্তিনের কর্মকর্তাদের বলছেন, ‘জো বাইডেন সরকার চায় ফিলিস্তিনে স্বাধীনতা, নিরাপত্তা থাকুক এবং ফিলিস্তিন সমৃদ্ধির পথে চলুক।’ তিনি জানিয়েছেন, ‘ফিলিস্তিনের আর্থিক বৃদ্ধি হলে তার প্রভাব রাজনীতিতেও পড়বে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে। ইসরায়েলের পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রও সুরক্ষিত থাকবে।’
২০১৬ সালের মে মাসে সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইউএসপিইডির বৈঠক। তারপর ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হন। তিনি পুরোপুরি ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ান। দূতাবাস জেরুসালেম থেকে তেল আবিবে নিয়ে আসা হয়। অবশ্য ২০০৪ সালের পর ইউএসপিইডির বৈঠক ২০১৬ সালেই হয়েছিল। বাইডেন প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনের এলাকাতেও দূতাবাস খুলবে। তবে তারা এ জন্য কোনো সময়সীমা দেয়নি।
ট্রাম্প ফিলিস্তিনকে সাহায্য দেয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বাইডেন এসে আবার শুরু করেছেন। তা সত্ত্বেও দুই তরফের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে উত্তেজনা আছে। আমেরিকা অবশ্য জেরুজালেমে ফিলিস্তিন বিষয়ক অফিস খুলে রেখেছে। সূত্র: ডয়েচে ভেলে।