শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রূপনারায়ণকুড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভবনে দুধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ৩ ডিসেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই চুরির ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনাটি রহস্যজনক বলেও মনে করছেন অনেকেই।
জানা যায়, গত ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান, সদস্য ও অন্যান্য দায়িত্বশীলগণ পরিষদে যাতায়াত বন্ধ রেখেছেন। শুধুমাত্র ইউপি সচিব মাঝে-মধ্যে আসা যাওয়া করতেন। ফলে অন্তত এক সপ্তাহ ধরে পরিষদ অনেকটা জনশূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। শনিবার সকালে এক প্রতিবেশি পরিষদ কমপ্লেক্সের কয়েকটি কক্ষের তালা ঝুলানোর হেজবুল কাটা দেখে বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে মোবাইল ফোনে খবর দেন।
খবর পেয়ে চেয়ারম্যান কার্যালয়ে গিয়ে ইউপি সচিব, সদস্যদের কক্ষ, ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা, প্রাণী সম্পদ বিভাগের কক্ষসহ মোট ৬টি কক্ষের তালা খোলা অবস্থায় দেখতে পান। ওইসময় তালা ঝুলানোর জন্য লাগানো ৬টি কক্ষের প্রত্যেকটি দরজার হেজবুনের রিং এর মতো অংশ এবং কয়েকটি তালার অংশও কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তিনি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি অবহিত করেন।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীসহ ইউনিয়ন পরিষদ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ওইসময় দেখা যায়, ডিজিটাল সেন্টারে থাকা একটি স্ক্যানার, একটি প্রিন্টার, ২টি কম্পিউটার সেট এবং সচিবের কক্ষ থেকে কিছু কাগজপত্র চুরি হয়েছে। এছাড়াও ডিজিটাল সেন্টার ও সচিবের কক্ষে থাকা ৩টি স্টিলের আলমারি খোলা অবস্থায় পাওয়া যায়। যেখান থেকে নথিপত্র চুরি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, গত ৫ বছরে কোনদিন এমন ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন শেষ হলো, আমি হেরে গেলাম। আর তখনই এমন চুরির ঘটনার পেছনে কোন ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। আমি এ বিষয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করব।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আহমেদ বাদল জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এটি প্রাথমিকভাবে চুরি বলেই মনে হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।