পিএসজির জার্সি গায়ে প্রথম লিগ গোলের দেখা পেলেনে লিওনেল মেসি। অবশেষে মেসির গোলে নঁতের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় পেয়েছে পিএসজি।
হাঁটুর সমস্যার কারণে বোর্দোর বিপক্ষে পিএসজির সবশেষ ম্যাচে খেলতে পারেননি মেসি। এই খেলায় মেসির সঙ্গে ছিলেন নেইমার আর ফরাসি তারকা এমবাপেও।২ মিনিটেই এমবাপেই পিএসজিকে এগিয়ে দেন । ম্যাচের বয়স তখন কেবল ১০১ সেকেন্ড। বক্সের বাইরে থেকে লিয়ান্দ্রো পারেদেস শট নিয়েছিলেন জোরালো, তবে সেটা হয়তো নঁতে গোলরক্ষক রুখেই দিতেন, যদি না মাঝপথে পা ছুঁইয়ে দিক বদলে দিতেন এমবাপে। সেকেন্ডের ভগ্নাংশে এমবাপের এমন দারুণ এক নৈপুণ্যেই এগিয়ে যায় পিএসজি। হতবাক গোলরক্ষক আলবাঁ লাফোঁ সুযোগই পাননি কোনো।
প্রথমার্ধে মেসি-নেইমারের কল্যাণে কম করে হলেও আরও তিনটি গোল পেতে পারত পিএসজি। কিন্তু নঁতে গোলরক্ষকের দারুণ তিনটি সেভে হতাশ হতে হয় আর্জেন্টাইন ও ব্রাজিলিয়ান তারকাকে। ফলে এক গোলের অগ্রগামিতা নিয়েই বিরতিতে যেতে হয় পিএসজিকে।
দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচে দাপট ছিল সফরকারীদেরই। তবে খেলার দৃশ্যপট বদলে যায় ম্যাচের ৬৫ মিনিটে। প্রতিপক্ষ ফরোয়ার্ড লুদোভিক ব্লাঁসকে ফাউল করে বসেন পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। ফলে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। এরপর নেইমারকে তুলে গোলরক্ষক সার্জি রিকোকে মাঠে আনেন কোচ পচেত্তিনো। কোচের আস্থার প্রতিদান তিনি দিয়েছেন মিনিটদুয়েক পরই। ব্লাঁসের শট রুখে দিয়ে পিএসজিকে রক্ষা করেন তিনি।
তবে মিনিট দশেক পর আর রক্ষা করতে পারেননি স্প্যানিশ এই গোলরক্ষক। ফরাসি ফরোয়ার্ড মুয়ানির হেডার ঠেকিয়ে দিলেও তার ফিরতি চেষ্টায় গোল হজম করে বসে পিএসজি। ১-১ সমতা ফিরে আসায় পিএসজি শিবিরে শঙ্কাই জেগেছিল পয়েন্ট হারানোর।
যদিও সে শঙ্কা উবে গেছে পাঁচ মিনিট পরই। মেসির পাস রুখতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন স্বাগতিক ডিফেন্ডার দেনিস আপিয়া। তাতেই পিএসজি এগিয়ে যায় ২-১ গোলে।
শঙ্কা অবশ্য পুরোপুরি উবে যায়নি তখনো। যদি প্রতি আক্রমণে একটা গোল হজম করে বসে দল! ৮৭ মিনিটে সেটাও উবে গেল মেসির গোলে। বক্সের বাইরে থেকে এক ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে দূরের পোস্টে দারুণ কোণাকুণি ‘ট্রেডমার্ক’ শটে বলটা জড়ান নঁতের জালে। তাতেই পিএসজির হয়ে প্রথম লিগ গোলের দেখা পেয়ে যান মেসি।
পিএসজির হয়ে এটিই অবশ্য তার প্রথম গোল নয়। এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ক্লাবের হয়ে তিনটি গোল করেছেন তিনি।
এই জয়ের ফলে পিএসজি ১৪ ম্যাচে ১২ জয় আর এক ড্রয়ে আছে লিগের শীর্ষেই। এক ম্যাচ কম খেলে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে পিএসজির চেয়ে ঢের পিছিয়ে তালিকার দুইয়ে আছে লেঁস।