নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আক্ষেপ ঘুচিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে এ আক্ষেপ ঘোচানোর পথে দলটি ভেঙে দিয়েছে একগাদা রেকর্ডও। শিরোপা না জিতলেও নিউজিল্যান্ডও ভাগ বসিয়েছে বেশ কিছু কীর্তিতে। রেকর্ডগুলো দেখা যাক এক নজরে।
১৭৩-বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বোচ্চ সফল রান রান তাড়া করার রেকর্ড। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। শীর্ষে আছে ২০১৮ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পাকিস্তানের ১৮৪ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটা।
নিউজিল্যান্ডের ১৭২ রান তাড়া করে বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও নিজেদের করে নিয়েছে অজিরা। এর আগে বিশ্বকাপের ফাইনালে ১৬০ রান পেরিয়েছিল একটি দলই। আগের বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংলিশদের ১৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৬১ রান তুলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
৩১- বিশ্বকাপের ফাইনালে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটা গড়েছেন মিচেল মার্শ। ৩১ বলে ফিফটি করে ভেঙে দিয়েছেন ঘণ্টা দুই আগেই করা কেন উইলিয়ামসনের রেকর্ড। কিউই অধিনায়ক রেকর্ডটা গড়েছিলেন ৩২ বলে।
৮৫- অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কেন উইলিয়ামসনের রান। বিশ্বকাপ ফাইনালে এর চেয়ে বেশি রানের নজির নেই আর কারো। অপরাজিত ৮৫ রান করে উইলিয়ামসনের পাশে আছেন মারলন স্যামুয়েলস। ২০১৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংলিশদের বিপক্ষে তিনি করেছিলেন এ রান।
২৮৯- ডেভিড ওয়ার্নার সদ্যসমাপ্ত টুর্নামেন্টে করেছেন ২৮৯ রান। তাতেই একটা রেকর্ড ভেঙে ফেলেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের কীর্তি এখন তার। ২০০৭ বিশ্বকাপে করা ২৬৫ রান নিয়ে প্রায় ১৪ বছর এ রেকর্ডটা নিজের করে রেখেছিলেন ম্যাথু হেইডেন।
৬০- দল না জিতলে তিনিই বনে যেতেন অজিদের খলনায়ক। মিচেল স্টার্ক যে নির্ধারিত ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৬০ রান! শেষ পর্যন্ত খলনায়ক না বনলেও একটা ‘রেকর্ড’ গড়া হয়ে গেছে তার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে সর্বোচ্চ রান
দেয়ার ‘কীর্তিটা’ এখন তারই। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসেই এর চেয়ে বেশি রান দেয়ার নজির আছে পাঁচটি।