রেলওয়েতে নতুন ৪৭ হাজার ৬৩৭ জনবল বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে বলে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সংসদের প্রশ্নোত্তরে সংরক্ষিত আসনের এমপি হেনা মমতা লাভলীর প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
রেলপথ নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, বর্তমানে রেলওয়েতে বাণিজ্যিক বিভাগে মঞ্জুরিকৃত দুই হাজার ৫১৬ জন জনবলের বিপরীতে এক হাজার ৪৬০ জন কর্মরত আছে। এখানে শূন্য পদের সংখ্যা এক হাজার ৫৬ জন (৪২ ভাগ)। সম্প্রতি রেলওয়ের ৪৭ হাজার ৬৩৭ জনের নতুন জনবল কাঠামোর অনুমোদন পাওয়া গেছে।
বেগম লুৎফন নেসা খানের প্রশ্নে জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রেলওয়ের ২৮৩টি ইঞ্জিন রয়েছে। এর মধ্যে ১৯১টি মিটারগেজ ও ৯২টি ব্রডগেজ। মিটারগেজ ইঞ্জিনের মধ্যে ১৩২টি এবং ব্রডগেজ ৪৩টিসহ মোট ১৭৫টির (৬১ ভাগ) অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল উত্তীর্ণ হয়েছে।
বর্তমানে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ১০০টি মিটার গেজ ও ৪০টি ব্রডগেজ নতুন ইঞ্জিন সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ২০টি মিটার গেজ রেলওয়েতে যুক্ত এবং ১০টি বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। ব্রডগেজ ইঞ্জিনের মধ্যে ৮টি কমিশনিং পর্যায়ে আছে। আরও আটটি শিগগিরই বন্দরে পৌঁছবে।
বেগম লুৎফন নেসা খানের অপর এক প্রশ্নে জবাবে রেলওয়ের দুর্ঘটনা ক্রমান্নয়ে কমে আসছে দাবি করে রেলমন্ত্রী জানান, ২০২০ সালে রেলের মোট ১৪৫টি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।