বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা, জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতীয় অনুষ্ঠানের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা। এক কিলোমিটারের মধ্যে গ্যাসচালিত গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এক কিলোমিটার দূরে গাড়ি রেখে সভাস্থলে আসতে হবে। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আশঙ্কায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করবে সরকার।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা বিষয়ক উপ-কমিটির সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় চলমান ইউপি নির্বাচনে সংহিংসতা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাজ ঠিকমতো করছে। ইউপি নির্বাচন আধিপত্যের নির্বাচন, গোষ্ঠীর মধ্যে নির্বাচন। এখানে একটু ঝগড়া মারামারি হতেই পারে। সেজন্য নিরাপত্তা বাহিনী বসে নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানগুলো ১৬ ডিসেম্বরের আগে শেষ করা হবে। ১৬ ডিসেম্বর থেকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান শুরু হবে। নভেম্বরের শেষ থেকে শুরু করে ডিসেম্বর পর্যন্ত অনেকগুলো অনুষ্ঠান পালন করা হবে। ওইসব অনুষ্ঠানে বিদেশ থেকে মেহমানরা আসবেন। দু’জন বিদেশী রাষ্ট্র প্রধান আসবেন বলে ইতোমধ্যে জানা গেছে। আরও হয়তো অনেকেই আসতে পারেন।
সভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজয় দিবসকে সামনে রেখে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় (১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর) দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এছাড়া সারাদেশের অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আসা যাওয়ার সময়ের নিরাপত্তা এবং বিদেশিদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনুষ্ঠান ঘিরে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য একটি উপ-কমিটি এবং দেশি-বিদেশি অতিথিদের নিরাপত্তার জন্য আরেকটি উপ-কমিটি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর সংসদ ভবনের অনুষ্ঠানস্থল ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আরেকটি জাতীয় অনুষ্ঠান হবে। এ সময় এসব স্থানের আশপাশে ভ্রাম্যমাণ দোকান থাকবেন না এবং নির্মাণকাজ বন্ধ থাকবে। জাতির পিতার সমাধিস্থল ও সারাদেশেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
মন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী নিয়ে ২৪ থেকে ২৯ নভেম্বর টুঙ্গিপাড়ায় অনুষ্ঠান হবে। বাংলাদেশে ঐতিহ্য নিয়ে এ অনুষ্ঠান হবে। সেখানে গ্রাম বাংলার লোকজ শিল্পকে তুলে ধরা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
