শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে নির্বাচনী খিচুড়ি নিয়ে ছোট শিশুদের ঝগড়ার জেরে সহোদর ছোট বোনের স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সমন্ধি সোলায়মান মিয়া। ৩০ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাঘবেড় বালুরচর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত রুমান মিয়া একই গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে। ওই ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
জানা যায়, শনিবার বিকেলে ইউপি নির্বাচনী প্রচারণার খিচুড়ি নিয়ে রুমান মিয়ার ছোট ভাই ভাষানীর ছয় বছর বয়সী কন্যা বর্ষা প্রতিবেশি মানিক মিয়ার বাড়িতে যায়। ওইসময় মানিক মিয়ার তিন বছর বয়সী ছেলে মমিন নাড়া দিয়ে খিচুড়ি ফেলে দিলে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মানিকের ভাতিজা অটোচালক অভিযুক্ত সোলায়মান নিহত রুমানের পিতা ও সোলায়মানের সহোদর বোনের শ্বশুর আজিজুলকে আঘাত করে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে রুমান ও তার ভাই ভাষানীর সাথেও ঝগড়া বাঁধে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম মস্তুফার ছেলে এসে পরদিন বিষয়টি মিমাংসার কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করে চলে যান।
এদিকে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রুমান তার মোটরবাইক নিয়ে বাঘবেড় বাজারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পথিমধ্যে বাঘবেড় বালুরচর মসজিদের কাছে পৌঁছামাত্রই তার ইজিবাইকে রাস্তায় বেরিকেড দিয়ে ভগ্নিপতি রুমানের পথরোধ করে ও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে ফেলে যায়।
ওইসময় পথচারীরা টের পেয়ে রুমানকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। নিহত রুমানের দেড় মাস বয়সী ছেলে সন্তান রয়েছে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল জানান, ওই ঘটনায় নিহত রুমানের বাবা আজিজুল হক বাদী হয়ে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।