শেরপুরে মোহাম্মদ আলমগীর আল মামুন নামে এক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতি। সমিতির এক সদস্যের দায়ের করা মামলায় পক্ষপাতমূলক ভূমিকা ও কর্মকর্তাদের অবমূল্যায়নের অভিযোগে ২৭ অক্টোবর বুধবার বিকেলে সমিতির সভাকক্ষে সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান আকন্দের সভাপতিত্বে কার্যকরী পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদের এক যৌথ সভায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সমিতির সদস্য এ্যাডভোকেট শাহনূর রহমান রুবেলকে অ্যাসল্টসহ হামলা-লুটপাট ও ভাংচুরের অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় আল আমিন খানসহ ৫ জন আসামির উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া অন্তবর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ ২১ অক্টোবর শেষ হলে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ হয়। তারা বুধবার দুপুরে শেরপুর সদরে সি.আর আমলী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় না নিয়ে ওই বিষয়ে আপোসের তাগিদ দেন।
এতে সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র আইনজীবীরা বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য ধারার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং তারা সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ও তার পরিবারসহ সমিতির নেতাদের প্রতি চরম অসম্মান দেখিয়েছেন। তাই মামলার অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনার আবেদন জানালে ওই বিচারক সরাসরি আত্মসমর্পণকারী আসামিদের পক্ষে অবস্থান নেন এবং শুনানীতে অংশ নেওয়া আইনজীবী নেতাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। ওই অবস্থায় সমিতির সভাপতির আহবানে উপস্থিত সকল আইনজীবী তার কোর্ট ত্যাগ করেন।
অন্যদিকে ওই বিচারকের কোর্ট ত্যাগের পরও আইনজীবীর মামলায় আত্মসমর্পণকারী ৫ জন আসামিকেই জামিনে মুক্তি দেন ওই বিচারক। পরে বিকেলে এক জরুরি সভায় উদ্ভুত অবস্থার সম্মানজনক সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত ওই বিচারকের কোর্ট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওইসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমিতির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মো. সিরাজুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম আধার, সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক তারিকুল ইসলাম ভাসানী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. আব্দুল কাদের খান, ইমাম হোসেন ঠান্ডু, গোলাম কিবরিয়া বুলু, এমকে মুরাদুজ্জামান, আবুল মানসুর স্বপন, খন্দকার মাহবুবুল আলম রকীব প্রমুখ।