ads

রবিবার , ১০ অক্টোবর ২০২১ | ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

মেলান্দহে একটি ব্রিজের অভাবে চরম দুর্ভোগে ১৫ গ্রামের মানুষ

মো. শাহ জামাল, জামালপুর
অক্টোবর ১০, ২০২১ ১:১৫ অপরাহ্ণ

জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার সড়কে একটি ব্রিজ না থাকায় চরম দুর্ভোগ পড়েছে প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষ। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছেন সাধারণ মানুষ। দ্রুত এলাকাবাসীর দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস
স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের।

Shamol Bangla Ads

জানা যায়, জেলার মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার সড়কে একটি স্থায়ী ব্রিজ ছিলো। ব্রিজটি নির্মাণের ১ বছরের মাথায় বন্যায় দেবে গেছে। ১৯৯৭সনে বন্যার পানির স্রোতের তোড়ে সেতুটির নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সেতুটি দেবে গেছে। সেতুটি দেবে যাওয়ায় ওই এলাকার মানুষ নয়াপাড়া-চরগোবিন্দি সড়ক দিয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে। পরে স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা দেবে যাওয়া সেতুর জায়গায় একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছে।

বর্ষা মৌসুমে নৌকা আর শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো এখন ওই এলাকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন। দীর্ঘ প্রায় ২যুগ থেকে তিন উপজেলার প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন ওই বাঁশের সাঁকো। নয়াপাড়া-চর গোবিন্দি বাজার সড়কে একটি স্থায়ী সেতু এখন সময়ের দাবী।

Shamol Bangla Ads

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর নয়াপাড়া এলাকায় নয়াপাড়া-চর গোবিন্দি বাজার সড়কে একটি সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগে রয়েছে ওই এলাকার প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষ। নয়াপাড়া-চর গোবিন্দি বাজার সড়কে প্রতিদিন প্রায় ১০-১২ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। ওই সড়কে যাতায়াত করে মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার কিছু মানুষ। ওই সড়কে প্রতিদিন চর গোবিন্দি, কাজলা, কাটমা, মানিকদার, বড়বন্ত, চরখাবিলিয়া, মাইজবাড়ি, নব্বইয়ের চর, কয়েলাকান্দিসহ তিন উপজেলার প্রায় ১৫টি এলাকার মানুষ।

 

এছাড়াও ওই সড়কে প্রতিদিন পার্শ্ববর্তী বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার মানুষও যাতায়াত করে। ওই সড়কে একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে প্রায় ১০-১২হাজার মানুষ। মাহমুদপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়ার বাঁশের সাঁকোর পশ্চিম পার্শ্বে রয়েছে চর গোবিন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও উচ্চ বিদ্যালয়। সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। বন্যার সময় নৌকা আর শুকনো মৌসুমে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা। সেতু না থাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয় হাসপাতালে রোগী নেয়ার সময়। এছাড়া বয়স্ক মানুষের নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতেও সমস্যা হয়। কোন যানবাহন ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে না পাড়ায় রোগী নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় ওই এলাকার মানুষদের। ওই এলাকার কৃষকের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাঁশের সাঁকো দিয়ে উপজেলা শহরসহ জেলা শহরে নিতে বিপাকে পড়তে হয় কৃষককে। বাঁশের সাঁকো দিয়ে কৃষক তাঁর উৎপাদিত কৃষি পূর্ণ সঠিক সময়ে বাজারজাত করতে না পেড়ে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই ওই এলাকার মানুষের দাবি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোর জায়গায় একটা স্থায়ী সেতু নির্মানের।

 

মাহমুদপুর নয়াপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার জানান, নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াতে করতে এ এলাকার মানুষকে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনায় পড়তে হয়। সাঁকোর বাঁশ ভেঙ্গে পড়ে গিয়ে যাতায়াতকারীদের হাত-পা ভাঙ্গাসহ মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। যাতায়াতকারীদের দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে একটি স্থায়ী সেতু খুবই প্রয়োজন।

 

চর গোবিন্দি এলাকার দোকনদার শফির মিয়া জানান, ব্রিজ না থাকার কারণে মালামাল নিয়ে যাতায়াতের সমস্যা। মাল এ পার্শ্বে নামিয়ে কাঁদে করে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পাড় হয়ে আবার ওই পার্শ্বে নিয়ে আবার গাড়িতে তুলতে হয়। চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে মানুষকে।

 

মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, ১৯৯৭সনের বন্যায় নয়াপাড়া-চর গোবিন্দি বাজার সড়কের ব্রিজটি বেদে গেছে। পরে সেখানে আর কোন সেতু নির্মাণ হয়নি। ওই এলাকার মানুষ সেতুটির অভাবে খুব দুর্ভোগে রয়েছে। নয়াপাড়া-চর গোবিন্দি বাজার সড়কটি দিয়ে মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর ও পার্শ্ববর্তী বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার মানুষও চলাচল করে। মানুষের পাশাপাশি ওই অঞ্চলের কৃষকের কৃষি পূর্ণ মেলান্দহ উপজেলা শহরসহ জেলা শহরে নেয়ার একমাত্র সড়ক এটি। সেতু না থাকায় কৃষক তাদের কৃষি পূর্ণের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। তিনি আরও জানান, খুব দ্রুত সেতুটির কাজ শুরু হবে। স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে কথা হয়েছে। মাটি পরীক্ষার কাজও হয়ে গেছে। এখন টেন্ডার প্রক্রিয়া মাধ্যমে খুব দ্রুত সেতুর কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।

মেলান্দহ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শফিকুল ইসলাম জানান, বাঁশের সাঁকো দিয়ে ওই এলাকার মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Need Ads

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!