বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ শহরের তালিকায় রাজধানী ঢাকার দুই ধাপ উন্নতি হয়েছে। শহরটির অবস্থান এবার ৫৪তম। ডিজিটাল নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, অবকাঠামো, ব্যক্তিগত সুরক্ষার পশাপাশি পরিবেশগত সুরক্ষার ভিত্তিতে এ সূচক তৈরি করেছে লন্ডনভিত্তিক বিখ্যাত সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট।
বিশ্বের মোট ৬০টি শহর নিয়ে করা হয়েছে নিরাপদ শহরের এ তালিকা। তাতে গড়ে ৪৮ দশমিক ৯ পয়েন্ট পেয়েছে ঢাকা। এরমধ্যে অবকাঠামোতে ৪৯ দশমিক ৬, ডিজিটাল নিরাপত্তায় ৩৯, ব্যক্তিগত সুরক্ষায় ৪৬ দশমিক ৬, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ৫০ দশমিক ৯ এবং পরিবেশগত সুরক্ষায় ৫৮ দশমিক ২ পয়েন্ট পেয়েছে শহরটি।
ইকোনমিস্ট দুই বছর পর পর নিরাপদ শহরের তালিকা প্রকাশ করে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের তালিকায় ৫৬তম অবস্থানে ছিল ঢাকার। এর আগে ২০১৭ সালে ঢাকা ছিল ৫৮তম অবস্থানে। এক্ষেত্রে দুই ধাপ করে এগোচ্ছে। তবে ২০১৫ সালে ৫০টি শহর নিয়ে তালিকা করায় ঢাকার নামই ছিল না।
এ সূচকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আধিপত্য ছিল এশিয়ার। জাপানের টোকিও এবং ওসাকা ছাড়াও নগররাষ্ট্র সিঙ্গাপুর ছিল তালিকার শীর্ষে। কিন্তু এবার ৮২ দশমিক ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন। গড়ে ৮২ দশমিক ২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে টরন্টো।
২০১৯ সালের সূচকে কোপেনহেগেন ছিল অষ্টম স্থানে। পরিবেশগত সুরক্ষায় এগিয়ে থাকার কারণে এবার শহরটির দ্রুত উত্থান। পাঁচটি সূচকের মধ্যে অবকাঠামোতে ৮৯, ডিজিটাল নিরাপত্তায় ৮২ দশমিক ২, ব্যক্তিগত সুরক্ষায় ৮৬ দশমিক ৪, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ৭০ এবং পরিবেশগত সুরক্ষায় ৮৪ দশমিক ৫ পয়েন্ট পেয়েছে কোপেনহেগেন।
সিঙ্গাপুর ৮০ দশমিক ৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এছাড়া সিডনি চতুর্থ স্থানে; টোকিও পঞ্চম। ষষ্ঠ ও সপ্তম স্থানে আছে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম ও নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটন। হংকং আছে অষ্টম স্থানে। নবম হয়েছে মেলবোর্ন। আর দশম সুইডেনের স্টকহোম।