সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ২০১৬ সালের ২৫ মে জমকালো আয়োজনে প্রথম বিয়ে করেছিলেন মাহিয়া মাহি। চলতি বছরের ২৪ মে তাদের পঞ্চম বিবাহ বার্ষিকীর আগমুহূর্তে মাহি জানান, একসঙ্গে থাকছেন না আর তারা। অন্যদিকে প্রথম স্বামী অপুও জানালেন তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটেছে। এরপর গুঞ্জন ওঠে মাহি কামরুজ্জামান সরকার রকিব নামের এক রাজনীতিক-ব্যবসায়ীকে বিয়ে করছেন। তবে সেটিকে বরাবরেই উড়িয়ে দিচ্ছিলেন এই চিত্রনায়িকা।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই সত্যি হলো। ১৩ সেপ্টেম্বর সোমবার মধ্যরাত ১২টা ৫ মিনিটে সেই রকিবের সঙ্গেই দ্বিতীয় বিয়ের কাজটা সেরে ফেলেন ঢালিউডের এ জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। বিয়ের পরপরই তিনি ফুটফুটে ২ সন্তানের মা বনে যান তিনি। এরমধ্যে একটি ছেলে একটি মেয়ে। ছেলেটির নাম সোয়াইব ও মেয়েটির নাম সাইয়ারা। সন্তান দু’টির বাবা রাজনীতিক ও গাড়ী ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিব।
জানা যায়, মাহির সদ্য বিবাহিত স্বামী রকিবের প্রথম সংসারের দুই সন্তান সোয়াইব ও সাইয়ারা। তবে মাহির বর্তমান স্বামী সরকার রকিবের সঙ্গে তার প্রথম স্ত্রীর ডিভোর্স হয়েছে কিনা সেটি এখনও জানা যায়নি।
কিন্তু বিভিন্ন সময়ে মাহির শরীরের অংশ বিশেষের ছবি নিজের সঙ্গে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন সরকার রকিব। এমন সম্পর্কের কারণেই কি- প্রথম সংসারের দাম্পত্য জীবনের অশান্তি নেমে এসেছে কিনা এমনটাই প্রশ্ন নেটিজেনদের। একইভাবে এই সম্পর্কের জেরেই কি প্রথম স্বামী অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে কিনা? সেই প্রশ্নও অনেকের।
কে এই সরকার রকিব?
সরকার রকিবের আবাস গাজীপুরে। সদ্য বিয়ে করা স্ত্রী চিত্রনায়িকা মাহিকে নিয়ে তিনি গাজীপুরেই আছেন। সঙ্গে রয়েছে তার প্রথম সংসারের ২ সন্তানও। সরকার রকিব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য। এছাড়াও তিনি গাড়ি ব্যাবসায়ী, ‘সনি রাজ কার প্যালেস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার।
উল্লেখ্য, ১৩ সেপ্টেম্বর (সোমবার) ফেসবুকে নিজের বিয়ের ছবি মাহি নিজেই প্রকাশ করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে বিয়ের মঞ্চে ব্যবসায়ী (বর) কামরুজ্জামান সরকার রকিবের পাশে বসে আছেন কনে মাহি। অভিনেত্রীর কাছ থেকে কাবিননামায় স্বাক্ষর নেওয়া হচ্ছে।
বিয়ের বিশেষ এই মুহূর্তের ছবিটি প্রকাশ করে মাহি জানান, সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ১২টা ৫ মিনিটে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।
ছবির ক্যাপশনে মাহি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আজ ১৩/০৯/২১ইং ১২টা ০৫ মিনিটে আমাদের বিবাহ সম্পন্ন হলো। এর আগের সব কথা আসলেই গুজব ছিল। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন, এটাই একমাত্র চাওয়া।’