নকলায় একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ৫৫-৬০ বছর বয়সী এক নারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৫ সেপ্টেম্বর রবিবার রাতে নকলা সদরের জোড়া ব্রিজের দোতলা একটি ফাঁকা বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার হয়। এরপর চিকিৎসার জন্য তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তবে কেবল নিজের নাম পারভীন বলতে পারলেও ঠিকানাসহ অন্য কোন তথ্যই বলতে পারছে না ওই নারী।
জানা যায়, নকলা সদরের ওই বাড়ির মালিক প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী। তিনি মারা যাওয়ার পর বাড়িটি দীর্ঘ দিনযাবত ফাঁকা ছিল। এ জন্য পরিত্যক্ত ওই বাড়ির আশপাশে কারও যাওয়া-আসা ছিল না। কিন্তু কয়েকদিন যাবত বাড়িটি থেকে মাঝে-মধ্যে কারও কান্নার শব্দ শোনা যাচ্ছিলো। স্থানীয়রা বিষয়টি নকলা থানা পুলিশকে জানায়। পরে থানার এসআই চন্দন পাল ওই বাড়িতে গিয়ে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ফরিদ আহাম্মদ লালনের উপস্থিতিতে ঘরের তালা ভাঙেন। এরপর ভেতর থেকে নাম পরিচয়হীন কঙ্কালসার ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।
নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকা ওই নারী সম্পর্কে দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রাথমিকভাবে ওই নারীর বড় ধরনের সমস্যা চিহ্নিত হয়নি। দীর্ঘসময় না খাওয়ায় তিনি একদম শুকিয়ে গেছেন। তার চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালের মানবিক নার্স হাসি বেগম তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার সেবা-যত্নে ওই নারীর মুখে হাসি ফুটেছে। আশা করছি, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
নকলা থানার এস আই চন্দন পাল জানান, স্থানীয় লোকজন ফাঁকা বাড়িতে জীবন্ত কোনো কিছু আছে বলে আমাদের জানায়। তারপর আমরা দরজা ভেঙে কঙ্কালসার মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী কোনোভাবে ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়েছিল। এরপর ভেতর থেকে দরজা দিয়েছে এবং তারপর হয়তো সেটা আর তিনি খুলতে পারেননি।
এ ব্যাপারে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান জানান, উদ্ধার হওয়া ওই নারী ঠিকানা বলতে না পারায় এবং তার পরিচয় সনাক্ত না হওয়ায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীকরণ সাপেক্ষে তার সন্ধানের জন্য বিভিন্ন থানায় মেসেজ দেওয়া হয়েছে।