ময়মনসিংহের নান্দাইলে ছয় গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি হয়েছে দীর্ঘ এক বাঁশের সাঁকো। সাকোঁ নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের দাবি, এটির দৈর্ঘ্য ৩০০ ফুট। উপজেলার নরসুন্দা নদীর উপর গাগৈড় গ্রামের বাসিন্দারা স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি হয়েছে এই সাঁকো।
জানা গেছে, সিংরইল ইউনিয়নের গাগৈড় ও মুশুলী ইউনিয়নের নগর কচুরি গ্রামের ভেতর দিয়ে নরসুন্দা নদী বয়ে গেছে। এ নদীর পূর্ব পাড়ে নগর কচুরি গ্রামে রয়েছে ১২০০ বছরের পুরোনো একটি মসজিদ। স্থানীয় লোকজন এটিকে গায়েবি মসজিদ বলেই জানে।
মসজিদের পাশেই রয়েছে ঈদগাঁ মাঠ, এতিমখানা ও মাদ্রাসা। সেই মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে ও মাদ্রাসায় শিশুরা কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করতে বর্ষায় দুই কিলোমিটার পথ ঘুরে এবং শুকনো মৌসুমে কাদা মাড়িয়ে যেতে হয়। এ যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে গ্রামের লোকজন একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেন নদীর উপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করার। এরপর গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি করেন বাশেঁর সাকোঁ।
স্থানীয় রাজগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাইরুল ইসলাম বলেন, সাঁকো তৈরির জন্য গ্রামের বাড়িগুলো থেকে সাধ্যমতো বাঁশ সংগ্রহ করা হয়েছে। সাঁকোর দীর্ঘ প্রায় ৩০০ ফুট ও প্রস্থ ৬ ফুট।
সাঁকো তৈরিতে সার্বিক দায়িত্ব পালনকারী মুকলেসুর রহমান রিপন বলেন, ৬টি গ্রামের মানুষের চলাচল ও মসজিদের নামাজ আদায়ের জন্য সাঁকোটি তৈরি জরুরি হয়ে পড়েছিল। সাঁকো তৈরিতে গ্রামের সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করেছেন।
দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এসেও কাজ করেছেন। সাঁকোটি নির্মিত হওয়ায় সকলেই খুশি। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, কোনো এক সময় হয়তো সাঁকোটি সেতুতে পরিণত হবে।
সিংরইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, সাঁকোর দুই দিকে দুটি সেতু রয়েছে। তবে দুটি সেতুই একটু দূরে থাকায় চলাচলে সুবিধার জন্য গাগৈড় গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো তৈরি করেছে। তাঁদের এই মহতি উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়।