হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে দৌলতদিয়া ৫ নং ফেরিঘাটে পন্টুনের তার ছিঁড়ে পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া মাইক্রোবাসটি এক ঘণ্টার চেষ্টায় উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল। তবে মাইক্রোটিতে থাকা চালককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এখনও। এদিকে মাইক্রোটিতে আরও কোন যাত্রী ছিলো কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে হঠাৎ করেই ঝড় শুরু হলে দৌলতদিয়া ঘাটের ৫ নং ফেরি ঘাটের পন্টুনের তার ছিঁড়ে মাইক্রোবাসটি নদীতে পড়ে ডুবে যায়।
স্থানীয়রা জানান, ঝড়ের বাতাসের সময় পন্টুনের উপরে মাইক্রোবাসটি দাঁড়িয়ে থাকে। পন্টুন বেঁধে রাখা দড়ি ছিঁড়ার বিকট শব্দ শুনে আমরা দৌড়ে আসি পল্টনে কাছে। এসে দেখি সাদা রংয়ের নোহা মাইক্রোবাসটি ডুবে যাচ্ছে। এতে থাকা ড্রাইভার গাড়ি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলো। কিন্তু ড্রাইভার গাড়িটির সাথে ডুবে যায়।
মাইক্রোবাসটি উদ্ধারে গোয়ালন্দ ফার ব্রিগেড এবং পাটুরিয়ার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা চালায়। উদ্ধার কাজ করার জন্য উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ঘটনাস্থলে আসে। এক ঘন্টার চেষ্টায় উদ্ধার কাজ শেষে ডুবে যাওয়া নোহা গাড়ি ঢাকা মেট্রো চ- ১৪-২৬০৮ নাম্বারের গাড়িটি উদ্ধার করা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের রাজবাড়ী ইউনিটের ডিউটি এসিস্টেন অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনা স্থলে আসি এসে মাইক্রোবাসটি উদ্ধারের চেষ্টা করি। এক ঘণ্টার মধ্যে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। তবে গাড়িতে থাকা চালককে গাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ তায়াবীর বলেন, আমরা দূর্ঘটনার খবর শুনেই ঘটনাস্থলে আসি। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরাও আসে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছে। উদ্ধার কাজ শেষে হতাহত সম্পর্কে বলা যাবে।