সময় মতো আদালতে সাক্ষী হাজির হতে না পারা মামলার দীর্ঘসূত্রিতার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ফৌজদারি মামলায় সমন জারির পাশাপাশি সাক্ষীর মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হলে বিচারপ্রার্থী ও রাষ্ট্রের উভয়ের সময় ও খরচ কমবে। এতে করে বিচারপ্রার্থী ও জনগণের দুর্ভোগ ও হয়রানি কমবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায়ও কার্যকর ভুমিকা রাখবে। ১৮ মার্চ
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বিদ্যমান সমন জারি পদ্ধতির পাশাপাশি এসএমএস বার্তার মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ মামলার সাক্ষীকে অবহিতকরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওই কথা বলেন তিনি।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, সচিব মো. আফজাল হোসেন, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহ, নরসিংদীর জেলা ও দায়রা জজ মোসতাক আহমেদ, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের এমডি মো. সাহাব উদ্দীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, এসএমএস বার্তার মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ মামলার সাক্ষীকে অবহিতকরণের বিষয়টি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ অগ্রযাত্রায় আরও একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সময় লকডাউন চলাকালে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা এবং এসএমএসের মাধ্যমে নেওয়া কার্যক্রম বিচার বিভাগের জন্য অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী।
আনিসুল হক বলেন, পাইলট ভিত্তিতে কুমিল্লা ও নরসিংদীতে সমন জারির এসএমএস পদ্ধতি চালু করা হলো। পাইলট ভিত্তিতে গৃহীত এ কার্যক্রম পর্যালোচনা করে এ থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে সারাদেশে এ কার্যক্রম বিস্তৃত করা হবে।
মোস্তফা জব্বার বলেন, এসএমএসের মাধ্যমে মামলার অনেক জটিলতার সমাধান হবে। এ বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ডিজিটাল সংযোগ পৌঁছে দিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বদ্ধপরিকর।
