মইনুল হোসেন প্লাবন, শেরপুর ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ৯ লাখ পরিবারকে ঘর দিলেও শেরপুরের পাকুরিয়া ইউনিয়নের বাদাপাড়া এলাকার হতদররিদ্র কুলি, ৫ সন্তানের জনক আব্দুল করিমের ভাগ্যে জুটেনি সরকারি একটি ঘর। রাজনৈতিক নেতাদের দুয়ারে-দুয়ারে ঘুরছেন তিনি একটি ঘরের জন্য। এমতোবস্থায় গত ১০ মার্চ (বুধবার) তরুণ সাংবাদিক নাজমুল ইসলামের মাধ্যমে ‘শেরপুরে কুলি আব্দুল করিমের মানবেতর জীবন’ এমন শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি নজরে আছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হায়দার আলীর। পরে তিনি ১৪ মার্চ রবিবার সকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সরোজমিনে কুলি করিমের বাড়িতে যান। ওইসময় কুলি করিম ও তার স্ত্রী-সন্তানরা

আনন্দে মেতে উঠেন। ওইসময় ইউপি চেয়ারম্যান তাকে আশ্বাস্ত করে আগামী ১০দিনের মধ্যেই খড়ের ঘরটি ভেঙে টিনসেটের ২ কক্ষবিশিষ্ট বারান্দাসহ একটি ঘর উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ওই আশ্বাসের কথা শুনে আনন্দে কেঁদে উঠেন হতদরিদ্র কুলি আব্দুল করিমসহ তার অসহায় পরিবার। এছাড়াও কুলি করিমের ৩ ছেলের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন আলহাজ্ব হায়দার আলীর। তার ওই মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হায়দার জানান, বিভিন্ন গণম্যাধমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করার মাধ্যমে দেশ থেকে আজ দারিদ্রতা কমে যাচ্ছে। অসহায় মানুষ তাদের ন্যায্য সুফল পাচ্ছে। এমনি একটি সংবাদ আমার দৃষ্টিতে পড়ে ‘শেরপুরে কুলি আব্দুল করিমের মানবেতর জীবন’ এ শিরোনামে। আমার এ ইউনিয়নে এখনও খড়ের ঘর আছে কি না, তা আমার জানা ছিলো না। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের কারণেই আমি কুলি করিমের মানবেতর জীবনযাপনের বিষয়টি নিশ্চিত হই। আমি তাকে আশ্বস্ত করেছি আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাকে আমি ২ কক্ষবিশিষ্ট একটি টিনের ঘর উপহার দিবো।
ওইসময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিমুল আহাম্মেদ, ইমরান মিয়া, ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী সাদ্দাম হোসাইন, মানবাধিকার কর্মী রিয়াজুল করিম অপু, হৃদয় সিদ্দিকীসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
