বালুদস্যুদের থাবায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়। স্থানীয় প্রভাবশালী বালুদস্যুরা গারো পাহাড়ের সোমেশ্বরী ও কালঘোষা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু লুটপাট করে আসছে।
জানা যায়, বালুদস্যুরা সোমেশ্বরী নদীর তাওয়াকোচা,খাড়ামোরা, রাঙ্গাজান, বালিজুরি, কালঘোষা নদীর বাঁকাকুড়া, গান্ধিগাঁও, মালিটিলা এলাকার বিভিন্ন স্থানে ১৫ /২০টি শ্যালোইঞ্জিন বসিয়ে দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে বালু লুটপাট চালিয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, পাশাপশি উত্তোলন করা হচ্ছে পাথরও। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এসব এলাকা থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা মুল্যের বালু-পাথর লুটপাট করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন ট্রাক, ট্রলি ও মাহিন্দ্র গাড়িযোগে দিনে-রাতে পরিবহন করা হচ্ছে এসব বালু ও পাথর।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বালুদস্যুদের থাবায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে নদীর দুপারের ফসলি জমিসহ গারো পাহাড়। এতে একদিকে যেমন গারো পাহাড়ের সৌন্দর্য ও পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে, অপরদিকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আয় থেকে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলন যন্ত্র, শ্যালোমেশিন ভাংচুরও করা হয়েছে। কিন্তু অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি। একদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হচ্ছে। পিছনে পিছনে ফের শুরু হচ্ছে অবৈধভাবে বালু ও পাথর লুটপাট। ৬ মার্চ শনিবার ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ কালঘোষা নদীর উপজেলার বাকাকুড়া ও গান্দিগাঁও এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে শ্যালোইঞ্জিন চালিত ২ টি বালু উত্তোলন যন্ত্র ও প্রায় ৫ মিটার পাইপ ধ্বংস করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
