খোরশেদ আলম, স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইগাতী : স্বাধীনতার ৫০ বছর পর শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার আহাম্মদনগর অসংরক্ষিত বধ্যভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ১১ জানুয়ারি সোমবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই বধ্যভূমি সংরক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব।

জানা যায়, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আহাম্মদনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে ছিল পাকহানাদার বাহিনীর হেডকোয়ার্টার । এখানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গণহত্যার পর এ গণকবরে অসংখ্য নারী পুরুষকে গনকবর দেয়া হয়। দীর্ঘ ৫০ বছর পর ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের আহমদনগরে গণহত্যায় নিহত শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে বধ্যভূমিটি সংরক্ষণ কার্যক্রম হাতে নেন জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব। ওইসময় গণহত্যায় নিহত শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তর্বক অর্পণ করা হয় এবং শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। ওইসময় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, খুব শীঘ্রই বধ্যভূমির স্মৃতি ধরে রাখতে সকল কার্যক্রম শুরু করা হবে।
ওইসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জয়নাল আবেদীন, উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক, ঝিনাইগাতী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুরুজ্জামান আকন্দ, ডেপুটি কমান্ডার শামছুল আলম প্রমুখ।
উদ্বোধন শেষে ঝিনাইগাতী সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘শিক্ষাঙ্গনে সবুজায়ন বাস্তবায়নে’ গ্রীন স্কুল কর্মসূচির কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গাছের চারা লাগিয়ে শিক্ষাঙ্গনে সবুজায়ন উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব। পরে স্কাউট দলের মধ্যে মাস্ক ও গাছের চারা বিতরণ করেন। জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল পরিদর্শন করেন এবং ঝিনাইগাতী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় করেন। আলোচনা শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের মাধ্যে কম্বল ও মাস্ক বিতরণ করেন। পরে তিনি উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুড়া কমিউনিটি সেন্টারে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাঝে নবজাতকের জন্ম নিবন্ধনে অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম বিষয়ে এক আলোচনায় মিলিত হন এবং ৪৫ জন নবজাতকের অভিভাবকদের হাতে জন্ম নিবন্ধন সনদ বিতরণ করা হয়।




