স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরের নকলা পৌর শহরে বিল্ডিং কোড না মেনে ও আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে এক অসহায় পরিবারের বসতঘরের সীমানার ভেতরে ঢুকে সীমানা প্রাচীর ও বহুতল নির্মাণের অভিযোগ ওঠেছে নকলা পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওমর আলীর বিরুদ্ধে। তিনি প্রভাব খাটিয়ে ওই অসহায় পরিবারের বসতবাড়ির সীমানা প্রাচীরের নিচ দিয়ে বহুতল ভবনের পিলার নির্মাণসহ জমি দখল করার চেষ্টাও চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই বাড়ির গৃহবধূ আন্জুয়ারা বেগম শাপলা। ওইসব কাজে বাঁধা দিতে গেলে স্থানীয় ওই প্রধান শিক্ষকসহ তার সাথে থাকা একটি কুচক্রী মহল তাদের হুমকি-ধামকিসহ মারপিট করে আহত করেছেন। প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় বিচার শালিসের সুবিচার পাননি ওই পরিবার।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আন্জুয়ারা বেগম শাপলার পরিবার স্থানীয়দের মাধ্যমে কোন সমাধান না পেয়ে আদালতের দিকে অগ্রসর হন। পরে তারা ২০১৮ সালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন, যা এখনও বিচারাধীন রয়েছে। এদিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগকারীর নালিশী ভূমি দখলে আছে কিনা তার দেখার জন্য সরেজমিনে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নকলা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে পত্র প্রেরন করেন। ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা নকলা সদর ইউনিয়ন ভূমি তদন্তে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে আদালত বিবাদীগণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আদেশ জারি করেন। বর্তমানে সেটি বিচারাধীন থাকার পরও তা অমান্য করে ও বিল্ডিং কোড না মেনে ভবন তৈরি নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উমর আলী। স্থানীয় থানা পুলিশকে জানানো হলেও তারাও রহস্যজনক কারণে কোন ভূমিকা রাখছেন না বলে অভিযোগ শাপলার পরিবারের।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ওমর আলী জানান, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়। আমি আমার সীমানার মধ্যেই আছি।
এ ব্যাপারে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান জানান, আমরা জমির বিষয় নিয়ে কিছু করতে পারি না। আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, বিষয়টি দেখছি।
